নরম ঘাসের উপর জমে থাকা শিশির আর হিমশীতল বাতাস জানান দিয়ে যাচ্ছে শীতের আগমন। এই সময় প্রকৃতির সাথে সাথে ত্বক ও রুক্ষ ও শীতল রুপ ধারন করে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে ত্বকের ও পরিবর্তন হতে থাকে। বিশেষ করে যাদের ত্বক একটু শুষ্ক তাদের ত্বক আর বেশী রুক্ষ ও নিষ্প্রান হয়ে যায়। তাই এই সময় ত্বকের একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। আর ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রসাধনী বদলে ফেলার ও প্রয়োজন হয়।
কিন্তু চাইলে বাড়তি প্রসাধনী ব্যাবহার না করেও হাতের কাছের কিছু উপাদান দিয়েও এই শীতে ত্বককে রাখতে পারেন সজীব ও প্রানবন্ত। ত্বকের রুক্ষতা কমাতে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে তেল মালিশ করা।প্রতিদিন গোসলের আধা ঘন্টা আগে নারিকেল তেল, তিলের তেল, অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। সম্ভব হলে ব্যাবহারের আগে তেলটাকে একটু গরম করে ব্যাবহার করুন। মিল্ক ক্রীম বা মাখন স্কিনকে মশ্চারাইজ করতে অনেক উপকারি। চলুন জেনে নেই শীতকালে ত্বকের যত্ন নিতে ও পরিচ্ছন্ন রাখতে কি করবেনঃ
শুষ্কতা দূর করতে মাস্ক
২ টেবিল চামুচ দুধ এর সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও ২ টেবিল চামুচ মাখন ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। এবার কিছুক্ষন রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। দই শীতকালে ত্বককে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। চাইলে দই সরাসরি মুখে লাগাতে পারেন অথবা এর সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও ১ চামুচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।শুকিয়ে টানটান হয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
শীতকালে ত্বকের যত্নে মধুর চেয়ে ভালো কিছু হতেই পারে না। ২ চামুচ মধু সরাসরি মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের রুক্ষতা কমে ত্বক আরও কোমল ও মসৃণ হয়।
ত্বক নরম ও পরিষ্কার রাখতে মাস্ক
এলোভেরা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। একটা এলোভেরার শাস বের করে এর সাথে ১ চামুচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে সম্পুর্ন মুখে ও হাতে পায়ে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষন পর হাত দিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক অনেক কোমল হবে। কাঁচা দুধ তকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ও কোমলতা ধরে রাখতে অনেক সাহায্য করে। আধা কাপ দুধ এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে এটা দিয়ে মুখে গলায় ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যাবহারে স্কিন থেকে শীতের রুক্ষভাব দূর হয়।