দুপুরের খাবারের পর বিকেলে কিছু নাস্তা ছেলে-বুড়ো সবারই পছন্দ। চটপটে মজাদার কিছু তৈরি করা মানেই ইনস্ট্যান্ট নুডলস। এ ছাড়াও এই সময়টাতে ঝটপট কিছু তৈরি করতে চাইলে “চিকেন রুটি রোল হতে পারে মজাদার আর সময় সাশ্রয়ী। বাচ্চার টিফিনেও দিয়ে দিতে পারেন এই স্ন্যাক্সটি। চলুন আজকে জেনে নেয়া যাক, এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করতে হয়।
উপকরণঃ
পুরের জন্য–
– ১ কাপ মুরগীর মাংস সেদ্ধ (ছোটো করে কাটা)
– ১/৪ কাপ পেঁয়াজ কুচি
– ৩-৪ টি মরিচ কুচি বা ঝাল বুঝে
– ১/৪ কাপ টমেটো ছোটো কিউব করে কাটা
– ১-২ টি রসুনের কোয়া কুচি
– ১ ইঞ্চি আদা কুচি
– লবণ স্বাদ মতো
– টেস্টিং সল্ট প্রয়োজন মতো
রোলের জন্য–
– ২ কাপ ময়দা
– ১ টেবিল চামচ ঘি/তেল
– লবণ স্বাদ মতো
– পানি প্রয়োজন মতো
– চীজ নিজের ইচ্ছে মতো (নাও দিতে পারেন)
– তেল ভাজার জন্য
পদ্ধতিঃ
পুর তৈরি করতে-
– ফ্রাইং প্যানে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নরম করে ভেজে নিন। এরপর এতে একে একে আদা, রসুন, মরিচ দিয়ে ভেজে টমেটো দিয়ে নেড়ে নিন।
– এরপর সেদ্ধ করে রাখা ছোটো করে কাটা মাংস কুচি দিয়ে ভালো করে নেড়ে লবণ ও টেস্টিং সল্ট দিয়ে স্বাদ বুঝে ভাজা ভাজা করে নিয়ে নামিয়ে রাখুন।
রোল তৈরি
– প্রথমে ময়দায় লবণ ও তেল/ ঘি দিয়ে ভালো করে মেখে ময়দার খামির করে নিন। এরপর ময়দায় প্রয়োজন মতো পানি দিয়ে রুটি বেলার ডো এর মতো তৈরি করে নিন।- বড় একটি করে পাতলা রুটি বেলে নিয়ে নিজের পছন্দ মতো লম্বায় রুটি ছুরি দিয়ে কেটে নিন লম্বা লম্বা করে। এরপর এক খণ্ড রুটির এক কিনারে পুর দিন প্রয়োজন মতো। তার উপরে খানিকটা চীজ দিয়ে রুটি রোল করে দুই পাশ আটকে দিন।
– একটি বড় কড়াইয়ে ডুবো তেলে ভাজার জন্য তেল গরম করে নিন এরপর অল্প আঁচে সময় নিয়ে ভালো করে ভেজে তুলুন রোল গুলো। লক্ষ্য রাখবেন, চুলার আঁচ বেশি গরম হলে তেল বেশি গরম হবে, এতে করে রুটির ভেতর ভালো করে হবে না কিন্তু উপরে পুড়ে যাবে। তাই সর্তক থাকুন।
হয়ে গেলে একটি বাটিতে টিস্যু পেপার দিয়ে রোল গুলো তুলে রাখুন। পছন্দমত সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।