প্রেশার ও ডায়বেটিস থাকার পরও কুরবানির গোশত খেতে কারও অরুচি লাগে না। সবাই দেদারসে বরকতের খানা মনে করেই এই গোশত খেয়ে থাকেন। পূর্ববর্তী নবীদের সময় কুরবানীর গোশত খাওয়ার কোনও নিয়ম ছিলো না। বরং যার কুরবানী কবুল হতো, সেই পশুটিকে এক ঝলক বিদ্যুৎ এসে পুড়িয়ে ছাই করে দিতো। কিন্তু, আল্লাহ তায়ালা এই উম্মতের জন্য এই মাংস খাওয়া হালাল এবং বরকতপূর্ণ করে দিয়েছেন। তাই দেখা যায়, তুলনামুলকভাবে এই গোশত খেলে কারও কোনও সমস্যা ত হয়ই না, বরং উপকার হয়। কুরবানীর পশুর মধ্যে অন্যতম একটি পশু হচ্ছে গরু।
আর এই গরুর মাংস বা বিফ ভুনা যে একবার খেয়েছে, সে এর স্বাদ কখনোই ভুলবে না। তবে, রান্নার পদ্ধতিগত কারণে স্বাদের মধ্যেও তারতম্য দেখা যায়। মজাদার এই খাবারের সিক্রেট রেসিপিটা একেক বাবুর্চির কাছে একেক রকম। তাই ঘরে যতই রান্না করা হোক না কেন, বাবুর্চির রান্নার মত যেন ঠিক হয় না। কিন্তু, বুদ্ধি খাটালে আপনি এর স্বাদের মধ্যে নতুনত্ব নিয়ে আসতে পারেন। আজকে এমন একটি ভিন্নধর্মী বিফভুনার রেসিপিই এখানে তুলে ধরবো।
উপকরণঃ
– ১ চা চামচ লবণ
– ১ চা চামচ চিনি
– দেড় চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
– ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়ো
– ৩/৪ কাপ করানো নারকেল ভেজে নেয়া
– ১ কেজি গরুর মাংস ছোটো করে কাটা
মসলার জন্য
– ২ টি পেঁয়াজ কুচি
– ১ ইঞ্চি আদা কুচি
– ৪ টি রসুনের কোয়া কুচি
– মরিচ ঝাল বুঝে
– ২ টেবিল চামচ নারকেল ভাজা
– ১ টেবিল চামচ তেল
তরকারীর ঝোলের জন্য
– ২ টেবিল চামচ তেল
– লবণ স্বাদমতো
– ৪ চা চামচ সয়া সস
– আড়াই চা চামচ চিনি দিয়ে ফেটানো ১ কাপ টকদই
পদ্ধতিঃ
– প্রথমে লবণ, চিনি, হলুদগুঁড়ো, মরিচগুঁড়ো একটি বড় বাটিতে সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন। এরপর এতে মাংস দিয়ে ভালো করে মেরিনেট করে নিন। এতে ২ টেবিল চামচ ভাজা নারকেল দিয়ে মাখিয়ে আলাদা করে রাখুন।
– মসলার জন্য রাখা সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে মসৃণ মিশ্রন তৈরি করে নিন।
– একটি বড় প্যানে তেল গরম করে এতে মাংস দিয়ে ভালো করে নেড়ে ভাজা ভাজা করতে থাকুন। মাংস খানিকক্ষণ ভেজে নিয়ে আলাদা করে নামিয়ে নিন।
– একই প্যানে সামান্য তেল দিয়ে বানিয়ে রাখা মসলা ও তরকারীর ঝোলের সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে নেড়ে মসলা কষাতে থাকুন কয়েক মিনিট। এতে ফেটিয়ে রাখা টকদই দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।
– ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাংস দিয়ে নেড়ে নিন এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করতে থাকুন। অল্প থেকে মাঝারি আঁচে ধীরে ধীরে রান্না করবেন। মাংস সেদ্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
– মাংস হয়ে এলে এবং ঝোল শুকিয়ে এলে নামিয়ে নিন। ব্যস, এবার গরম গরম পরিবেশন করুন সুস্বাদু এই ভিন্ন স্বাদের গরুর মাংস ভুনা।