ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ : ‘টাইপ টু’ ডায়াবেটিস পুরোপুরি ভালো হয় না। তবে এ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে দারুচিনি। মূলত দুটি ভিন্ন উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে দারুচিনি। এটি রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা কমায়। এতে ডায়াবেটিক রোগীদের সুস্থ দেহ ধরে রাখা সহজ।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ : দারুচিনি রক্তে মন্দ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এ কারণে হৃদরোগীদের জন্য দারুচিনি খুব উপকারী। এটি রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখে।
ওজন কমায় : দারুচিনির ব্যবহার শরীরের ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, দারুচিনি অতিরিক্ত ক্ষুধা এবং চিনি আসক্তি কমায়। ফলে দেহের ওজন কমতে থাকে।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় : গবেষণায় দেখা গেছে, দারুচিনি আপনার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। বাড়ায় স্মৃতি ও চিন্তাশক্তিও।
ব্যথানাশক : শারীরিক নানা ব্যথা, এমনকি মাথাব্যথার সমস্যাও দূর করতে পারে দারুচিনি। এর প্রোস্টাগ্লান্ডিন নামক উপাদান মস্তিষ্ক শিথিল করে এবং মাংসপেশির ব্যথা উপশমে কাজ করে।
মুখের দুর্গন্ধ : দারুচিনির জীবাণুনাশক উপাদান মুখে ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদন প্রতিরোধ করে দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা করে। প্রতিদিন গরম পানিতে দারুচিনি মিশিয়ে কুলি করলে বা চিবিয়ে খেলেও মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
ত্বকের দাগ দূর করেঃ এছাড়াও দারুচিনি গুড়া ত্বকের দাগ ও ব্রন দূর করতে ব্যবহার করা হয়।
রান্নার কাজেঃ দারুচিনি দিয়ে বানানো হয় মজাদার রুটি ও উপমহাদেশে বিভিন্ন তরকারীতে সুগন্ধ আনতে দারুচিনি অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করা হয়।