গুনাহ তথা আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজকর্মে লিপ্ত হওয়ার কারনে আখেরাতের শাস্তির পাশাপাশি দুনিয়াবী অশেষ ক্ষতি ও লোকসানির কারণ হয়। গুনাহের কারনে কি কি ক্ষতি হয়ে থাকে, নিচে তা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলোঃ
১। ইলম তথা জ্ঞানের উপকারিতা থেকে বঞ্চিত থাকা।
২। আল্লাহর ইবাদত ও বন্দেগীতে মন না বসা।
৩। সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও নেক লোকদের সংশ্রব পছন্দ না করা।
৪। অধিকাংশ কাজের ক্ষেত্রে বাধা-বিপত্তি ও শয়তানি ধোঁকায় পতিত হওয়া।
৫। অন্তর পরিষ্কার না থাকা এবং অন্তরে সর্বদাই বাজে খেয়াল ও কুধারনার উদয় হওয়া।
৬। মনের দুর্বলতার কারণে শরীরও দুর্বল হয়ে যাওয়া।
৭। এবাদত বন্দেগি ও ভালো কাজ থেকে বঞ্চিত হওয়া।
৮। হায়াত কমে যাওয়া।
৯। তাওবার তাওফীক না হওয়া।
১০। গুনাহের কাজ বারংবার করার কারণে অন্তর থেকে গুনাহের প্রতি স্বাভাবিক ঘৃণা দূর হয়ে যাওয়া।
১১। আল্লাহর নিকট অপমানিত হওয়া।
১২। একজনের গুনাহের কারণে অন্য লোক এমনকি জীব জন্তুরও দুঃখ কষ্ট ভোগ করা ও ক্ষতি হওয়া।
১৩। এর এ কারণে তাদের অভিশাপে পতিত হওয়া।
১৪। জ্ঞান ও বুদ্ধি কমে যাওয়া এবং কিছু কিছু গুনাহের কারণে আল্লাহ এবং তাঁর প্রিয় রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জবানে গুনাহগার ব্যক্তির উপর অভিসম্পাত করেছেন।
১৫। ফেরেশতাদের দু’আ থেকে বঞ্চিত থাকা।
১৬। শস্য ও ফসলাদি কম উৎপন্ন হওয়া।
১৭। মানুষের মধ্যে লজ্জা ও শরম কমে যাওয়া।
১৮। আল্লাহ তায়ালার বড়ত্ব অন্তর থেকে দূর হয়ে যাওয়া।
১৯। আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রাপ্ত নিয়ামতসমুহ কমে যাওয়া।
২০। বিপদ-আপদে জড়িয়ে পড়া।
২১। উক্ত ব্যক্তির উপর শয়তানের প্রভাব স্থায়ী হওয়া।
২২। অন্তর সব সময় পেরেশান ও বিপর্যস্ত থাকা।
২৩। মৃত্যুর সময় মুখ থেকে কালেমা বের না হওয়া ও কালেমা নসীব না হওয়া।
২৪। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ে যাওয়া আর এ কারণে বিনা তাওবায় মারা যাওয়া।
এছাড়াও, গুনাহের ফলে আখেরাতের শাস্তি আর আযাব তো আছেই। ইচ্ছায় অনিচ্ছায় প্রতিনিয়ত আমাদের অসংখ্য গুনাহ হয়ে যায়। কিন্তু আল্লাহর রহমত থেকে কখনই নিরাশ হওয়া যাবে না। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে গুনাহের কারণে আল্লাহর সামনে লজ্জিত ও অনুতপ্ত থাকতে হবে। এমন কেউ আছে কি, যে কখনোই গুনাহ করে নাই। বরং আমরা প্রত্যেকেই গুনাহগার কিন্তু আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও মেহেরবান। তিনি চাইলে যে কাউকে ক্ষমা করতে পারেন আবার শাস্তিও দিতে পারেন।