সুন্নাহ বা সুন্নাতে রাসুল বলা হয় ঐ সমস্ত কাজকে যেগুলো রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে করেছেন বা যার প্রতি মৌখিক বা মৌন সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। রাসুলের সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার ব্যপারে কুরআনের ইরশাদ হচ্ছেঃ
(হে মুমিনগণ) তোমরা রাসুলের আদেশ পরিপূর্ণভাবে পালন করো, আর যা থেকে তিনি তোমাদেরকে বারন করেন তা থেকে বিরত থাকো (সূরা হাশরঃ আয়াত নং-৭)
আরও ইরশাদ হয়েছে, হে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন যে, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসো, তবে তোমরা আমার অনুসরণ করো। তবে, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করবেন আর আল্লাহপাক অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও বড় করুণাময়। (সূরা আল ইমরানঃ আয়াত নং-৩১)
হাদিস শরীফে আছে, আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি ফিতনার জমানায় আমার সুন্নাহের উপর অবিচল থাকবে, সে একশত শহীদের সমান সওয়াব পাবে। আরও ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে হিফাযত করবে, আল্লাহ তায়ালা তাঁর হিফাযত করবেন এবং চার জিনিষ দ্বারা তাকে সম্মানিত করবেন-
১। সকল নেককার লোকের অন্তরে তাঁর মুহব্বত সৃষ্টি করে দিবেন।
২। গুনাহগারদের অন্তরের মধ্যে তাঁর ভয় ঢুকিয়ে দিবেন।
৩। রিজিকের প্রশস্ততা দান করবেন।
৪। দ্বীনের উপর অবিচল থাকার তাওফীক দান করবেন।
পানি বা তরল বস্তু পান করার সুন্নাহ হচ্ছে ছয়টি।
১। ডানহাতে পান করা।
২। বসে পান করা।
৩। খাওয়ার আগে পানি দেখে নিয়ে পান করা।
৪। বিসমিল্লাহ বলে পান করতে শুরু করা।
৫। তিনবারে বা তিন শ্বাসে পান করা।
৬। পান করা শেষ হলে আলহামদুলিল্লাহ বলা।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুধ পান করার সময় এই দু’আ পড়তেন-
– اللهم بارك لنا فيه وزد نا مِنه
আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফীহি ওয়া ঝিদনা মিনহু।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ আমাদেরকে এই দুধের মধ্যে বরকত দান করুন এবং অনেক বেশী বাড়িয়ে দিন।
যমযমের পানি পান করার সময় এই দু’আ পাঠ করব-
–اللهم انى اسألك علم نافعا ورزقا وسعا وشفاء من كل داء
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়া ওয়া রিযকান ওয়াসিয়া ওয়া শিফা-আন মিন কুল্লি দাঈন।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট উপকারী ইলম এবং রিজিকের প্রশস্ততা ও সর্বপ্রকার রোগ হতে মুক্তি চাচ্ছি।