সমাজকে যদি মানুষ হিসেবে কল্পনা করা হয়, তাহলে সম্পদ বা টাকা পয়সা সেই মানুষটির শরীরের রক্তের মত। সবাই চায়, পরিমিত সম্পদ নিয়ে সুখে, শান্তিতে জীবন কাটাতে। তাই সম্পদ বাড়ানোর আটটি উপায় নিচে দেয়া হলোঃ
১। সুদ এড়িয়ে চলুন। আল্লাহ সুদকে ধবংস করেন, এবং সাদকার সম্পদ বৃদ্ধি করেন। (কুরআন ২ঃ ২৭৬)।
২। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করুন। কারণ, নবীয়ে কারীম (স) এর ইরশাদ, কেউ যদি চায় তার সম্পদ ও হায়াত বৃদ্ধি পাক, তবে সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে। (বুখারী)
৩। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া। কারণ, আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, তোমরা যদি আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের সম্পদ বাড়িয়ে দেব। (কুরআন ১৪ঃ ৭)
৪। দান করা। কারণ, আল্লাহ তায়ালার ইরশাদ, হে আদমের সন্তানগণ, তোমরা খরচ করো। আমি তোমাদের উপর খরচ করবো। রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, দান করলে সম্পদ কমে না, বরং বাড়ে। (বুখারী ও মুসলিম)
৫। বেশী বেশী ইস্তেগফার করা ও নিজের গোনাহর জন্য আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া। নূহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার কওমের উদ্দেশ্যে, হে আমার কওম, তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল। তিনি আকাশ থেকে উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দিবেন। (কুরআন ৭১ঃ ১০-১২)
৬।তাকওয়া অবলম্বন করা। কারণ, যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য যে কোন অবস্থায় রাস্তা খুলে দেন। এবং এমন জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করেন, যা তার ধারণাতেও ছিলো না। (কুরআন ৬৫ঃ ২-৩)
৭। কুরআন তিলাওয়াত করুন। কারণ, রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন। যেই ঘরে কুরআন তিলাওয়াত করা হয়, সেই ঘরে বরকত হয়। (তাফসীরে ইবনে কাসীর)।
৮। আল্লাহর কাছে দু’আ করা। কারণ, রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) এর জন্য দু’আ করছিলেন, তখন তিনি সর্বপ্রথম তার সম্পদ বৃদ্ধির জন্য দু’আ করেন। (বুখারী শরীফে বর্ণিত হাদিস সুত্রে পাওয়া)।
এবং আমরা অবশ্যই আল্লাহর কাছে আমাদের হাতে সম্পদ দেয়ার কথা বলবো, যাতে আমরা খরচ করতে পারি। হৃদয়ে সম্পদের প্রতি ভালবাসা নয়, যা সম্পদ কুক্ষিগত করার মূল কারণ।
আল্লাহ আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানে মঙ্গল দান করুন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে হেফাযত করুন।