ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে চান অনেকেই। এর সেজন্য নানা কসমেটিক্স ও প্রসাধনীও ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু চাইলে প্রাকৃতিক কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজেই ত্বকের যত্ন নেয়া সম্ভব। আর সেজন্যই, নিচের প্রাকৃতিক হারবাল বা ভেজষগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
১। হলুদঃ প্রতিটি রান্নাঘরেই হলুদ থাকে। তাই এটাকে বলা যায়, সবচেয়ে সহজলভ্য বার্ধক্যরোধক উপাদান। হলুদে থাকা কারকিউমিন পদার্থটির বার্ধক্য দূর করার অসাধারণ ক্ষমতা আছে। এটা খুব সহজেই কুঁচকানো চামড়া বা মুখের বলিরেখা দূর করে। হলুদের ক্ষত সারানোর অদ্ভুত ক্ষমতার জন্য এটা নিয়মিতভাবে মুখের ত্বকে ব্যবহার করা যায়। ফলে ব্রনের দাগ, বলিরেখা ইত্যাদি খুব সহজেই দূর হয়ে যায়।
রোজমেরিঃ ত্বকের যত্নে রোজমেরি হচ্ছে একটি অসাধারণ উপাদান। রোজমেরি ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় রাখতে সহায়তা করে, যার ফলে চট করে বলিরেখা পড়ে না। পরিবেশের ক্ষতি থেকে রোজমেরি ত্বকের কোলাজেনকে প্রাকৃতিকভাবে সুরক্ষিত রাখে। ত্বকের যত্নে সরাসরি রোজমেরি ব্যবহার করতে না চাইলে রোজমেরি এসেশিয়াল তেল কয়েক ফোঁটা ব্যবহার করলেই উপকার পাবেন।
চন্দনঃ সুগন্ধি কাঠ হিসেবে চন্দন খুব জনপ্রিয়। ভারতীয় উপমহাদেশে চন্দন কাঠ বিভিন্ন কাজে সেই প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চন্দন বাটা মুখের মরা কোষ ঝরিয়ে দিতে ও বলিরেখা দূর করার জন্য অনন্য। এখন অবশ্য চন্দনের তৈরি বিভিন্ন প্রসাধনীও পাওয়া যায়। তবে সেসব ব্যবহার না করে নিজ হাতে তৈরি করে নিতে পারেন চন্দনের পেস্ট। আর সেজন্য চন্দন গুঁড়া কিনে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেটি পাটায় বেটে নিন। এর সঙ্গে অল্প একটু দই আর লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন একটি মাস্ক যা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করবে ও ত্বকের কুঁচকানো ভাব দূর করবে।
ডিমঃ একটা ডিম আর ত্বকের জন্য কী ই বা করতে পারে। বড় জোর খানিক সময়ের জন্য পেটের ক্ষুধা কিছুটা দূর করতে পারে। কিন্তু না! ডিমের সাদা অংশ ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ডিমের সাদা অংশের সাথে কয়েক ফোঁটা মধু আর এসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে ভালো করে ফেটে নিন। যখন ফোমিং হয়ে যাবে, তখন ফেসিয়াল ব্রাশ বা কটন বলের সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে আবার লাগান। এবার ফেসিয়াল পেপার (এক ধরণের সাদা কাগজ, যা ফেসিয়ালের জন্য ব্যবহার করা হয়) তা মুখের উপর চেপে চেপে লাগিয়ে নিন।। এবার ব্রাশের সাহায্যে বাকি ডিমটুকুও মুখের উপর প্রয়োগ করুন। শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন। তারপর টেনে তুলে নিন। এটা শুধুমাত্র মুখের ময়লা দূর করবে না, সেই সাথে মুখের ত্বককেও টান টান করে তুলবে।
মধুঃ মধুতে আছে প্রাকৃতিক এন্টি-ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান। ত্বকের উপরের রিংকেল ও কালো দাগ কমাতে মধু বহুল পরীক্ষিত। চন্দনের সঙ্গে মধু বা কমলার খোসার গুঁড়ার সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের উপরের ময়লা ও মরা কোষ দূর হয়। এছাড়াও ত্বকে তাৎক্ষণিক আর্দ্রতা আনতে হলে দুই চামচ মধু পুরো মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আনার বা ডালিমের রসঃ এন্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর আনার বা ডালিমের রস খাওয়ার সাথে সাথে মুখেও লাগাতে পারেন। এটা বার্ধক্য রোধক হিসেবে খুব ভালো কাজ করে।
আঙ্গুর বীজের তেলঃ আঙ্গুর বীজের তেল একধরনের এসেন্সিয়াল তেল যা ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের কুঁচকানো ভাব দূর করতে এই তেল লাগাতে পারেন।