শুধুমাত্র পানি খেয়ে ওজন কমাতে চান? হ্যাঁ, যারা খালি পেটে থাকতে চান না, খালি পানি খেতে চান না অথবা ব্যয়াম করতে চান না। তাদের জন্য ডিটক্স ওয়াটার হতে পারে ওজন নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায়। ডিটক্স ওয়াটার আপনার পেট ও রক্ত থেকে দুষিত পদার্থ বের করে দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা টনিকের মত কাজ করে। চলুন, জেনে নেই ডিটক্স ওয়াটার বানানোর ৬টি রেসিপিঃ
১। দারুচিনি ও আপেলঃ একটি আপেলের বীজ ফেলে কুচি কুচি করে কেটে নিন। ৫০০ মিলি পানির সাথে আপেল কুচি মেশান। তার সাথে এক স্টিক দারুচিনিও মেশাতে পারেন। এবার বোতলটি ভালভাবে ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষন ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করুন। তারপর এই পানিটা ছয় ঘন্টা পর্যন্ত খেতে পারবেন।
২। স্লিমিং ডিটক্স ওয়াটারঃ এই রেসিপিটা বিভিন্ন লেবুজাতীয় ফল ও শসা দিয়ে তৈরি করা হয়। এতে পানির সাথে সাথে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেলও পাবেন। এটা তৈরি করতে লাগবে অর্ধেক গ্যালন পরিস্কার খাবার পানি, লেবু টুকরা করা, কমলা কয়েক কোয়া ও জাম্বুরা কয়েক পিস। স্লাইস করে কাটা ফলগুলো পানির সাথে মিশিয়ে নিন। চাইলে খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ড করেও নিতে পারেন। এবার ছাকনি দিয়ে ছেঁকে পানিটা খেতে পারেন। এর সাথে তাজা শসার কুচি মিশিয়ে দিলে খেতে আরো ভালো লাগবে।
৩। কালো আঙ্গুর ও কমলাঃ এক বোতল পানিতে এক মুঠো কালো আঙ্গুর ও একটি কমলা খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই পানিটা না ছেকেই খেতে পারেন। ফলের রং আপনার পানিটাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
৪। তরমুজ ও স্ট্রবেরীঃ তরমুজের কোয়ার সাথে স্ট্রবেরী মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন অসাধারণ পানীয়। এর সাথে অল্প পরিমাণ বিট লবন মেশালে খেতে আরও মজা ও সুস্বাদু মনে হবে। উপরে কয়েকটা পুদিনার পাতা সাজানোর জন্য ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৫। আমের সঙ্গে আদাঃ এই পানীয়টা শক্তির পাশাপাশি আপনার মেটাবলিজমকে শক্তিশালী করবে। একটি পাকা আম টুকরা টুকরা করে কেটে নিন। এর সাথে আদা কুচি মিশিয়ে ব্লেণ্ড করে নিন। এবার এতে প্রয়োজনমত বরফকুঁচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
৬। স্ট্রবেরী ও লেবুঃ পানির সঙ্গে ১৫ টি স্ট্রবেরী ও একটি লেবু কুঁচি করে মিশিয়ে ব্লেণ্ড করে নিন। এর সঙ্গে কিছু পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিতে পারেন। এই পানীয়টা আপনাকে সব সময় তাজা রাখতে সাহায্য করবে। এবং রক্তের দুষিত পদার্থ দূর করার সাথে সাথে অহেতুক ক্ষুধার হাত থেকেও রক্ষা করবে।
এই ধরণের পানীয় বানানোর সময় যে বিষয়টি মাথায় রাখবেন, তা হচ্ছে এতে ভুলেও চিনি মেশাবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। কারণ চিনিতে আছে কার্বোহাইড্রেট যা মুটিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।