পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী জন্মানো এবং সবচেয়ে পুরাতন ফসল হচ্ছে শসা। দেশ, কাল ও স্থানভেদে অনেক জাতের শসাই দেখা যায়। শসা হচ্ছে সবচেয়ে কম ক্যালোরীযুক্ত এবং উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার। শসার প্রায় ৯৫% পানি এবং এতে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি এবং এ আছে। শসা একটি অসাধারণ প্রশান্তিদায়ক খাবার। ত্বক, চুল এবং চোখের যত্নেও এটা অত্যন্ত উপকারী। চলুন, এবার রূপচর্চার ক্ষেত্রে শসা কীভাবে ব্যবহার করবেন তা জেনে নেয়া যাকঃ
চোখের ফোলাভাব দূর করতেঃ সালাদের বাইরে সবচেয়ে বেশী শসা ব্যবহার করা হয় চোখের ফোলাভাব দূর করতে। এটা চোখের ফোলাভাব খুব সহজেই দূর করে। আর এ কারনেই এটা জনপ্রিয়। এটা ত্বক ঠান্ডা করার পাশাপাশি ক্ষয়প্রাপ্ত রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে। এবং শসাতে উচ্চমাত্রার ফ্লাভানয়েড ও এন্টি-অক্সিডেন্ট আছে যা ত্বকের ফোলাভাব, লালচেভাব ও প্রদাহ দূর করে।
রোদে পোড়া দাগঃ শসার কুঁচি বা পেস্ট অথবা শসা পাতলা পাতলা করে কেটে সারাদেহে লাগিয়ে রাখুন। তৎক্ষণাৎ আপনি এর শীতলতা অনুভব করতে পারবেন। শসাতে ৯৫% ভাগ পানি থাকায় শসা খুব ভালভাবেই রোদে পোড়া ত্বকের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। শসাতে থাকা ভিটামিন সি ও এ ত্বককে পুনর্জীবিত করে।
ত্বকের সেলুলাইটিস দূর করেঃ ওজন বেড়ে যাওয়ার ফলে ত্বকের ফাটাভাব দূর করতে শসার রস খুব কার্যকর। শসাতে থাকা ফাইটোক্যামিকেলস ত্বকের কোলাজেন উৎপন্ন করে (যা শরীরের টিস্যু গঠন করে এবং স্থিতিস্থাপকতা যোগ করে)।
ব্রণঃ শসাতে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট ব্রণের ফলে সৃষ্ট ত্বকের প্রদাহ কমায়। শসার রসের সাথে কাঁচা হলুদ ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস যোগ করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দশ-পনেরো মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটা অনেকটা ম্যাজিকের মত কাজ করবে।
চুলের কন্ডিশনারঃ চুল ধোয়ার পর কন্ডিশনার হিসেবে শসার রস লাগাতে পারে। ৫-১০ মিনিট রেখে হাল্কাভাবে ধুয়ে ফেলুন। শসা চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সালফার ও সিলিকনের যোগান দিয়ে চুলকে শক্তিশালী করে তোলে।
শসার তৈরি শক্তিশালী এন্টি-এজিং মাস্কঃ ত্বকের কুঁচকানো ভাব দূর করতে শসা দিয়ে তৈরি করে নিন একটি কার্যকর মাস্ক। এজন্য প্রথমে কিছু শসার রসের সাথে ঘৃতকুমারীর রস (১-৩ টেবিলচামচ), দধি (২ টেবিলচামচ), লেবুর রস(আধা চা চামচ) মেশান। ১০-১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন(সপ্তাহে দুইবার লাগাবেন) তারপর ঠান্ডা পানির ঝাপ্টা দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।