Skip to content

আসমাউল হুসনা যা পাঠ করলে দোয়া কবুল হয়

আসমাউল হুসনা শব্দটির অর্থ “সুন্দর নামসমূহ”। আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে। এগুলো মূলতঃ আল্লাহর এক একটি গুণ। যা দিয়ে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা মানুষের দু’আ কবুল করে থাকেন। এমন একটি দোয়া যা আসমাউল হুসনা নামে পরিচিত তা নিচে দেয়া হলো।

হাদীসে বর্ণিত আছে, যদি কোন ব্যক্তি তিনবার “ইয়া আরহামার রাহিমীন” বলে, তাহলে একজন ফেরেশতা তার প্রতিউত্তরে বলেন, নিশ্চয়ই সবচেয়ে বড় দয়াশীল তোমার প্রতি মনোযোগী আছেন এখন তুমি যা খুশি তাই চাও অর্থাৎ তোমার দোয়া অবশ্যই কবুল হবে।

অন্য হাদীসে বর্ণিত আছে একবার রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন সে ব্যক্তি ওই সময় ইয়া আরহামার রাহিমীন বলে দোয়া করছিলো। রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম তাঁর এই দোয়া শুনে বললেন এখন তুমি আল্লাহর কাছে তোমার যা ইচ্ছা তাই চাও। কারণ, এই মুহূর্তে আল্লাহ তায়ালা তোমার প্রতি রহমতের দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছেন।

يا اول الاولين يا اخر الاخرين ياذا القوه المتين يا راحم المساكين يا ارحم الراحمين يا عظيم يا حليم يا كريم

অর্থাৎঃ হে আদি ও অন্ত! হে মজবুত শক্তিধর! হে অভাবীদের উপর দয়াবান! হে শ্রেষ্ঠ দয়ালু! হে বিরাট ও মহান! হে মর্যাদাশীল, হে পরম ধৈর্যশীল, পরম দয়ালু।

lone-man-staring-at-the-crowd-of-soldiers-from-afar-2

এই সবগুলোই হচ্ছে আল্লাহ তাআলার উত্তম নামসমূহ যা পাঠ করে এক জিহাদে সাহাবায়ে কেরামগণের বিরাট বাহিনী, প্রায় দশ হাজার লোকের বিশাল জমাত নিয়ে ১৫ হিজরীতে পানির উপর দিয়ে পারস্য উপসাগর পার হয়ে গিয়েছিলেন। অথচ, তাদের ঘোড়ার পায়ের ক্ষুরও পানিতে ভিজে নাই।

slavic-knight-2

উপসাগরের যে স্থান দিয়ে পার হয়েছিলেন তার দূরত্ব ছিল নৌযানে পূর্ণ একদিন এবং এক রাতের রাস্তা। অর্থাৎ প্রায় ৩৬ মাইল চওড়া উপসাগর পার হওয়ার পূর্বে এই একই কালেমা গুলো পাঠ করে তিনি আসমান থেকে মরুপ্রান্তরে বৃষ্টি নামিয়ে ছিলেন এবং ওই পানির দ্বারা পুরো জামাতের এবং সকল জানোয়ারের যাবতীয় প্রয়োজন পূর্ণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: