Skip to content

এম্ব্রয়ডারী করার সময় বেশ কিছু সাধারণ ভুল ও তা এড়ানোর উপায়

ভুলত্রুটি সব জায়গাতেই আছে। এমনকি সেলাইয়ের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক অবস্থাতে আপনার অনেক ভুল হয়ে যেতে পারে। কিছু কিছু ভুল আছে যা আগে ভাগে জানলে এড়ানো সম্ভব হয়। তাই সেলাইয়ের ক্ষেত্রেও এমন কিছু সাধারণ ভুল আছে যা সম্পর্কে জানলে আপনি তা এড়িয়ে যেতে পারবেন।

সেলাইয়ের ক্ষেত্রে এমন কিছু ভুল আছে, যার ফলে আপনার সুন্দর কোনও ডিজাইন এবং প্যাটার্ন তৈরি করার আগ্রহই শেষ হয়ে যাবে। তাই এই ভুলগুলো এড়ানো সম্ভব হলে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ডিজাইন ও প্যাটার্ন তৈরি করতে পারবেন যা অন্যদেরকে অনুপ্রাণিত করবে। এখানে এমব্রয়ডারি করার সময় কিছু সাধারণ ভুল ও সেগুলো এড়ানোর উপায় দেখানো হলো:

নির্দেশনা উপেক্ষা করা: নতুন যারা হাতের কাজ বা এমব্রয়ডারি শুরু করেছেন, তাঁরা কখনই কোনও নকশা কিভাবে করতে হবে তার নির্দেশনা এড়িয়ে যাবেন না। কয়েকটি নির্দেশনা পড়ে সেই অনুযায়ী কাজ করার পর আপনি হয়তো কোনও নির্দেশনা না পড়েই নতুন কোনও ডিজাইন তৈরি করতে শুরু করেন। এর ফলে হয়তোবা আপনি ভুল সুতা ব্যবহার করবেন অথবা যে কয়টা সুতার গাছি নিতে বলা হয়েছে, তার বদলে আরও বেশী বা কম সুতা নিয়ে ফেলবেন। এর ফলে আপনার সম্পূর্ণ প্রজেক্টটি এলোমেলো হয়ে যাবে অথবা সম্পূর্ণ প্রজেক্ট শেষ করার আগেই এম্ব্রয়ডারীর সুতা শেষ হয়ে যাবে। অনেকে হুবহু নির্দেশনা মেনে প্রজেক্ট শেষ করতে চান না এবং বেশ কিছু ধাপ বাদ দিয়ে রেখে যান। কিন্তু যেকোনো এমব্রয়ডারি প্রজেক্ট ভালোভাবে শেষ করতে হলে আগাগোড়া সম্পূর্ণ ধাপগুলো অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

এম্ব্রয়ডারির জন্য ভুল ফেব্রিক নির্বাচন করাঃ বেশীর ভাগ সারফেস এম্ব্রয়ডারির জন্যই বেশ শক্তপোক্ত ফেব্রিক দরকার হয় বিশেষ করে যেগুলোতে ২৮ বা তারও বেশি সুতার প্রয়োজন পড়ে। যদি আপনার ফেব্রিকটি এমন হয়, যাতে অল্প পরিমাণ সুতা দিয়ে এম্ব্রয়ডারি করা যায়, তাহলে বেশী সুতা ব্যবহারের ফলে সুতায় অতি সহজেই গিঁট লেগে যাবে ও ডিজাইনটি বাজে দেখাবে। তাই কি ধরণের ফেব্রিক ব্যবহার করছেন ও এতে কি পরিমাণ সুতা ব্যবহার করা যাবে তা আগে থেকেই ঠিক করে নেয়া জরুরী। এর ফলে ডিজাইনটি অতিরিক্ত ভারী হয়ে যাবে না এবং খুব সহজেই এম্ব্রয়ডারি করা সম্ভব হবে।

ভুল সুঁই নির্বাচন করাঃ ফেব্রিকের মতই বিভিন্ন ধরণের ফেব্রিক এবং প্রজেক্টের উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা সুঁই নির্বাচন করতে হয়। কোনো এমব্রয়ডারি প্রজেক্ট করার আগে ফেব্রিক এবং সুতার মতই কি ধরণের সুঁই ব্যবহার করতে হবে তা জানা আবশ্যক। যাতে সুঁইয়ের কারণে প্রজেক্টটি তৈরী করার সময় কোনও ঝামেলা না হয়। উদাহরনতঃ বলা যায়, কোনো নরম ও পাতলা ফেব্রিকে বড় ও মোটা সুঁই ব্যবহার করা হলে তা কাপড়ের মধ্যে বেশ বড় বড় ছিদ্র তৈরি করে। এর ফলে কাপড় অতি সহজেই ফেঁসে যেতে পারে। অথবা ডিজাইনটি দেখতে খুব বাজে দেখাবে। আবার মোটা কাপড়ে চিকন সুঁই ব্যবহার করার ফলে সুঁই বাঁকা হয়ে যাবে, সুতা টেনে তুলতে বেশ কষ্ট হবে, এমনকি সুঁই ভেঙ্গে হাত কেটে যেতে পারে। তাই কি ধরণের কাপড়ে চিকন সুঁই ব্যবহার করতে হবে ও কি ধরণের কাপড়ে মোটা সুঁই ব্যবহার করতে হবে, তা অবশ্যই ভালোভাবে জানা দরকার। এছাড়াও কখন চোখা সুঁই ও কখন ভোঁতা সুঁই দিয়ে কাজ করতে হবে, তাও পরিষ্কারভাবে জানা উচিৎ।

এম্ব্রয়ডারি সুতার পরিবর্তে ক্রাফট সুতা ব্যবহার করাঃ সাধারণতঃ বিভিন্ন ধরণের ক্রাফট তৈরি করার সুতার দাম এমব্রয়ডারি সুতার তুলনায় কম হয়। অনেকে এই ধরণের সুতা দিয়ে এম্ব্রয়ডারী ডিজাইন তৈরি করে থাকেন। কিন্তু এগুলো দিয়ে তৈরি এমব্রয়ডারি একই রকম হয় না। এজন্যই আপনাকে এমব্রয়ডারি ফ্লস সুতা ব্যবহার করতে হবে, যাতে আপনার ডিজাইনটি দেখতে খুব সুন্দর এবং পেশাদার মনে হয়। এছাড়াও ক্রাফট সুতার মান খুব বেশী ভালো না হওয়ায় আপনার এমব্রয়ডারিটি দেখতে খুব সস্তা আর বাজে মনে হবে, এবং খুব বেশীদিন টিকবে না।

কোনও কলম বা পেন্সিল দিয়ে ডিজাইন অংকন করাঃ এমব্রয়ডারি করার পর আপনি যদি খুব পরিচ্ছন্ন একটি আর্ট পিস পেতে চান, তবে ফেব্রিকে আঁকার সময় পানিতে  দ্রবণীয় কলম ব্যবহার করুন। এটা খুব সহজেই উঠে যাবে এবং আপনার আর্টওয়ার্কটি খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠবে। তা না হলে কলম বা পেন্সিলের কিছু অংশ ঢেকে গেলেও বাকি অংশ সহজে মুছবে না, যার ফলে আপনার এম্ব্রয়ডারিটি দেখতে খুব বাজে ও নিন্ম মানের মনে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: