প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩৬০,০০০ শিশুর জন্ম হয়। এবং এর মধ্যে ছেলেদের পরিমাণ সব সময়ই মেয়েদের তুলনায় বেশী থাকে। এই সংখ্যানুক্রমটি ১৭ শতকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়।

আজকাল, প্রতি ১০০ জন মেয়ের বিপরীতে ১০৭ জন ছেলের জন্ম হয়। কিছু কিছু দেশে লিঙ্গের ভারসাম্যহীনতা অনেক বেশি। যেমন, চীন। এখানে ছেলে ও মেয়ের অনুপাত হচ্ছে ১২০ঃ১০০। অর্থাৎ, প্রতি ১০০ জন মেয়ের বিপরীতে ১২০ জন ছেলের জন্ম হয়।

ভারতে, প্রতি ১০০ জন মেয়ের বিপরীতে ১১২ জন ছেলে জন্ম নেয়। এবং আজারবাইজানে ১০০ জন মেয়ের বিপরীতে ১১০ জন ছেলের জন্ম হয়।
সবচেয়ে কম অনুপাত হচ্ছে বেশ কিছু আফ্রিকান দেশে, যেমনঃ মাদাগাস্কার, রুয়ান্ডা, টোগো এবং জিম্বাবুয়েতে। এখানে ১০০ জন মেয়ের বিপরীতে ১০২ জন ছেলের জন্ম হয়।
এই ধরণের প্রবনতা কেন দেখা দেয়? কারণ হচ্ছে, পুরুষদের টিকে থাকার হার ও সহনশীলতা কম হওয়া। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মানুষের যাবতকালে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা প্রায়ই বেশি হয়ে যায়।
এছাড়াও, রক্ষনাবেক্ষন ও কষ্টকর, কায়িক শ্রমের ক্ষেত্রে পুরুষ নারীদের তুলনায় অধিক কর্মক্ষম ও শক্তসমর্থ। আর এজন্যই সামগ্রিক দিক থেকে পুরুষের প্রয়োজন বেশী হয়। তাই প্রকৃতি আগে থেকেই পুরুষদের কিছু ব্যাকআপ তৈরি করে রাখে। যাতে ভবিষ্যতে ঘাটতি দেখা না দেয়।