যে কোন লিপবাম এবং লোশন এর জন্য বেইজ উপাদান হিসেবে ক্যারিয়ার তেল ব্যবহার করা হয়। আজকে আমরা এইসব তেল এবং বাটার নিয়ে আলোচনা করবো। এগুলো মূলত লোশন এবং লিপবামকে পাতলা ও নরম করতে ব্যবহার করা হয়, যার ফলে ত্বকের উপর প্রয়োগ করা সহজ হয়ে উঠে।
প্রত্যেকটি কেরিয়ার তেল আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ এবং এগুলোর গুনাগুন ভিন্নধর্মী। নিচের যে সব তেলের তালিকা প্রদান করা হলো সেগুলো লিপবামে ব্যবহার করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
অ্যালমন্ড তেল: এই তেল কোল্ড প্রেসড বা অপরিশোধিত অবস্থায় ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। এই তেলটির রং হালকা সোনালি এবং তেলে আমন্ড বাদাম এর হালকা মিষ্টি সুগন্ধ পাবেন। । আমন্ড অয়েল সব ধরনের ত্বকের জন্য অসাধারণ কার্যকরী এবং বিশেষ করে সেনসিটিভ ত্বকের জন্য এই তেল খুবই ভালো। এটি ত্বকের জ্বালাপোড়া দূর করে শুষ্ক ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তুলতে পারে।
অ্যালোভেরা তেল: কেরিয়ার তেল হিসেবে এই তেলটি স্বচ্ছ এবং গন্ধহীন। লিপবাম এর জন্য এটা অসাধারণ কার্যকর কারণ যে কোন ধরনের ত্বকে এই তেল খুব সহজেই মানিয়ে যায়। একই সাথে এটা ফেটে যাওয়া শুষ্ক ঠোঁট আর্দ্র করে তোলে।
-এপ্রিকট কারনেল তেল – এই ক্যারিয়ার তেলটি লেনোলিক এবং ওলেইক এসিড সমৃদ্ধ। এর রং বেশ স্বচ্ছ এবং কিছুটা হলুদাভ ও এতে হালকা সুগন্ধ আছে। এটা সব ধরনের ত্বকের উপযোগী এবং খুব সহজেই ত্বকের গভীরে শোষিত হয়। এর ফলে ত্বকে তেল চিটচিটে ভাব তৈরি হয় না এবং ত্বককে গভীর থেকে আর্দ্র করে তোলে।
-আরগান তেল – কিছুটা সোনালী বাদামী রঙের এই তেলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই এবং এন্টি অক্সিডেন্ট আছে। এর ত্বক প্রশান্তকারী গুনের কারনে ত্বকের জ্বলাপোড়া ও শুষ্কতা দূর হয়।
-আভোকাডো তেল – সুন্দর সবুজ রঙের এই তেলে কিছুটা অ্যাভাকাডো তেলের সুঘ্রাণ পাবেন। এটা যেকোনো ক্ষত সারাতে উপকারী এবং খোস পাঁচড়া ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট ত্বকের ক্ষতি দূর করার জন্য বেশ বিখ্যাত।
ব্লুবেরির তেল – এই ক্যারিয়ার তেলটি হ’ল ব্লুবেরির সুগন্ধযুক্ত, বেশ সমৃদ্ধ সবুজ রঙের এই তেলে খুব শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে এবং ত্বকের লাল হয়ে যাওয়া ও ফেটে যাওয়া অবস্থাকে দূর করতে পারে। খুব বেশী চিটচিটে না হওয়ায় ঠোঁটের বাম তৈরি করার জন্য আদর্শ তেল।
ব্রাজিল নাট তেল – বাদামের সুগন্ধযুক্ত এই তেলটি স্বচ্ছ হলুদ বর্ণের। ৭০% ফ্যাটযুক্ত একটি সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার তেল। এতে বেশ ভালো পরিমাণে সেলেনিয়াম রয়েছে যা একটি মোলায়েম লুব্রিক্যান্ট এবং ত্বকের কন্ডিশনার হিসাবে ব্যবহার করা সম্ভব।
ক্যালেন্ডুলা তেল – এর প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যের কারণে ত্বকের যত্নের বিভিন্ন পণ্য যেমন, ক্রিম, সেল্ভেস এবং বামে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের জন্য খুব আরামদায়ক।ক্ষতিগ্রস্থ টিস্যু মেরামত করার জন্য এবং ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালনের জন্য খুব কার্যকর।
ক্যামেলিয়া তেল – এই তেলটি হলুদ বর্ণের এবং এটি ক্যামেলিয়ার বীজ থেকে তৈরি হয়। এতে ৮০% ওলেইক অ্যাসিড আছে যা ত্বক এবং চুল দুটোর কন্ডিশনিংয়ের জন্য চমৎকার।
কাস্টর অয়েল – খুব স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রঙের হয়ে থাকে, যা সহজেই অন্যান্য তেলের সাথে মিশ্রিত করা যায়। এতে চমৎকার লুব্রিকেটিং বৈশিষ্ট্য আছে যা লিপবামকে চকচকে করতে ব্যবহার করা হয়।