Skip to content

করোনা ঠেকাতে করনীয়

করোনা ভাইরাস। এক ভয়ংকর মূর্তমান আযাব যেনো। একে একে সবাইকে সন্ত্রস্ত ও স্তব্ধ করে দিচ্ছে। বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে লাখো মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। মারা গেছে আট হাজারের বেশি মানুষ।

করোনা ভাইরাস হচ্ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতোই একটি রোগ যা মানুষের হাঁচি ও কাশির সাথে ছড়ায়। এমনকি এ ভাইরাস শ্বাস প্রশ্বাসের সাথেও ছড়াতে পারে। এ রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে রোগীকে সম্পূর্ণরূপে আলাদা করে রাখতে হয়। এছাড়াও মুখে মাস্ক পরে থাকলে ও পার্সোনাল হাইজিন মেনে চললে এ রোগ সংক্রমিত হতে পারে না।

আতংকিত না হয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিলে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময় করা সম্ভব। করোনার ফলে জ্বর, হাঁচি কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ ভাইরাস সরাসরি ফুসফুসে আক্রমণ করে ফুসফুসের সেলগুলোকে মিউকাস দিয়ে পূর্ণ করে ফেলে, যার ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় এবং শ্বাস নেওয়ার সময় বুকে বেশ শব্দ ও ব্যাথা হয়।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সাধারণত চার থেকে এগারো দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়। তবে যাদের অন্য কোনো রোগ বা স্বাস্থ্য জটিলতা আছে, তাদের জন্য পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।

রোগী অত্যন্ত দূর্বল হলে বা অত্যাধিক বৃদ্ধ হলে, সহজে শ্বাস নিতে পারে না, যে কারণে শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যেতে পারে। করোনা ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্ট হলে রোগী যাতে স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিতে পারে তা সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে।

প্রয়োজনে নেবুলাইজার বা অক্সিজেন মাস্ক পড়াতে হবে। শক্ত খাবার না দিয়ে তরল খাবার খাওয়ানো এ সময় বেশি জরুরী। কারণ, তরল খাবার ও পানীয় ফুসফুস পরিস্কার করতে সাহায্য করে।

রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, কারণ এই রোগ মারাত্মক ছোঁয়াচে ও সংক্রামক। রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ার পর অবশ্যই হাত ধুয়ে নিন। এছাড়া বাইরে থেকে ফিরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পড়ে বের হতে হবে। কোনো কারণে সংক্রমিত হয়ে গেলে নিজেকে আলাদা রুমে বিচ্ছিন্ন করে রাখুন এবং পার্সোনাল হাইজিন বজায় রাখুন।

মহামারী ও দূর্যোগের সময় বাইরে ঘোরাঘুরি না করে ঘরে অবস্থান করুন ও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোথাও বের হবেন না। মহামারী ঠেকাতে এটা অত্যন্ত কার্যকরী উপায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: