দরুদে নাজিয়া যেকোনো দু’আর শুরুতে পড়া যায়। ওজিফা হিসেবেও দরূদে নাজিয়া পড়তে পারেন। দু’আর শুরুতে বা শেষে যেকোনো সময় দরূদে নাজিয়া পড়তে পারেন।
দরুদে তুনাজ্জিনার ফজিলত
এই দরুদ শরীফটিকে বিপদ মুক্তি বা মসিবত থেকে রক্ষা পাওয়ার দরুদ শরীফ বলা হয়। এই দরুদ শরীফে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার বংশধরদের উপর রহমত ও শান্তি নাযিল এবং নিজের বিপদ মুক্তির জন্য দু’আ করা হয়। যেকোনো ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক মুসিবতের সময় দরুদে তুনাজ্জিনা বা নাজিয়া একটি পরীক্ষিত আমল। তাই এই দরুদ নিয়মিত পড়লে বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকবেন এবং অভাব অনটন থেকে দূরে থাকবেন।
এছাড়াও এই দরুদ বেশি বেশি করে পড়লে স্বপ্নে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যিয়ারত নসীব হয়।
কোনও কঠিন মুসিবতে পড়লে, মামলা মোকাদ্দমায় জড়িয়ে পড়লে বা চাকরি হারানোর ভয় থাকলে নির্জন স্থানে বসে এই দরুদ এক হাজার বার পড়লে অভাবনীয় ফল পাওয়া যায়।
প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর দশবার এই দরুদ পড়লে ইনশা’আল্লাহ কোনও বিপদে পতিত হবেন না।
প্রত্যহ বেশি পরিমাণে পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে যেকোনো বিপদ দূর হবে। এই দুরুদে ভয়, বালা-মুসিবত ও পাপ থেকে মুক্তি চেয়ে রবের দরবারে নৈকট্য হাসিল করা যায়। কেননা, দুজাহানে তিনিই আমাদের একমাত্র ভরসা ও আশ্রয়স্থল।

দুরুদে তুনাজ্জিনার উচ্চারণঃ
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন সালাতান তুনাজ্জিনা বিহা মিন জামীঈল আহওয়ালি ওয়াল আফাতি ওয়া তাকদী লানা বিহা জামীঈল হাজাতি ওয়া তুতাহহিরুনা বিহা মিন জামীইস সায়্যিয়াতি ওয়া তারফা’উনা বিহা ইংদাকা আ’লাদ্দারাজাতি ওয়া তুবাল্লিগুনা বিহা আকসাল গইয়াতি মিন জামীঈল খায়রাতি ওয়া বা’দাল মামাতি ইন্নাকা আ’লা কুল্লি শায়ইন কাদির।
অর্থঃ “হে আল্লাহ! পূর্ণ রহমত দান করুন আমাদের সরদার হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার বংশধরদের উপর, এমন দরুদ ও সালাম, এমন রহমত ও শান্তি প্রেরণ করুন যা আমাদেরকে যাবতীয় বালা মুসিবত ও প্রতিকূল অবস্থা থেকে রক্ষা করবে। যা আমাদের যাবতীয় প্রয়োজনকে মিটিয়ে দিবে। যা আমাদেরকে সমস্ত গুনাহ থেকে পবিত্র করে দিবে এবং আমাদেরকে সুউচ্চ মর্যাদা ও আপনার নৈকট্য লাভ করতে সাহায্য করবে। এবং আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত কল্যাণের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দিবে। নিশ্চয়ই, আপনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান।”