মানুষের জীবন খুব সীমিত সময়ের জন্য। এই সীমিত সময়ের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ, তিনভাগের একভাগ সে ঘুমিয়ে কাটায়। তাই ঘুমের এই সময়টা যদি আমরা সুন্নাহের অনুসরন করে কাটিয়ে দেই, তবে ঘুমের সময়টুকু নেক আমল হিসেবে গন্য হয়ে যাবে। আর এই ঘুম অবস্থায় যদি আমাদের মৃত্যু হয়ে যায়, তাহলে আশা করা যায় আমরা ঈমানদার হিসেবে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে পারবো। এই উদ্দেশ্যেই আজকে আমরা ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে উঠার পর করণীয় আমল বা সুন্নাহসমূহ বিস্তারিতভাবে জানবো।
ঘুমাতে যাওয়ার সুন্নাহ আমল সমুহঃ
১। রাতে দেরী না করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া।
২। একাকী ঘরে বা নির্জন স্থানে একাকী না ঘুমানো।
৩। খোলা আকাশের নিচে না ঘুমানো।
৪। ঘুমানোর আগে খাবারের পাত্রসমূহ যথাসম্ভব ঢেকে রাখা।
৫। ঘরের মূল ফটক বন্ধ করে ঘুমানো।
৬। ঘুমানোর আগে অজু করা।
৭। বিছানা ভালো করে ঝেড়ে নেয়া।
৮। চোখে সুরমা লাগিয়ে ঘুমানো।
৯। ঘুমানোর আগে কোনও জরুরত থাকলে তা সেরে অজু করে নেয়া।
১০। ডান কাত হয়ে শুয়ে ঘুমানো।
১১। ঘুমানোর আগে ঘুমের দু’আ পড়া। ঘুমের দু’আটি হচ্ছেঃ ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহ্ইয়া’।
১২। সূরা ইখলাস, সূরা নাস ও সূরা ফালাক পড়ে পুরো শরীরে দম করা। অর্থাৎ, দুই হাতে ফু দিয়ে তা মুখ ও পুরো শরীরে যতদূর পর্যন্ত হাত যায় বুলিয়ে দেয়া।
১৩। আয়াতুল কুরসী, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ও সূরা মুলক তিলাওয়াত করা।
ঘুম থেকে উঠার সুন্নাহসমূহঃ
১। ঘুম থেকে উঠে মুখমন্ডল ও চক্ষুদ্বয় হাল্কাভাবে মর্দন করা।
২। এরপর তিনবার আলহামদুলিল্লাহ ও একবার কালিমায়ে তায়্যিয়েবা পাঠ করা।
৩। তারপর এই দু’আ পাঠ করাঃ আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি আহইয়ানা বা’দামা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।
৪। ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করা।