আম্মার রান্নার ভক্ত আমি অনেক আগে থেকেই। সাধারণত আমার আম্মুর সব রান্নাই অনেক মজা হয়। আম্মু রান্না করার সময় কোনও রেসিপি দেখে না। কিন্তু রান্না সব সময়ই অনেক অনেক মজা হয়। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার আম্মুর রান্না করা একটি মজার রেসিপি শেয়ার করবো। আর, তা হচ্ছে কচুর লতি দিয়ে লইট্যা শুটকির চচ্চড়ি। এজন্য নিচের উপাদানগুলো লাগবেঃ
১। শুটকি – ১০ থেকে ১৫ টি।
২। লতি – আধা কেজি।
৩। তেল – ১ কাপ বা পরিমাণ মত।
৪। পেঁয়াজ কুঁচি – ১ কাপ
৫। রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ।
৬। আদা বাটা – আধা চা চামচ।
৭। মাংসের মসলা – ১ চা চামচ।
৮। শুকনা মরিচ গুঁড়া – দেড় চা চামচ।
৯। জিরা বাটা – আধা চা চামচ।
১০। ধনে গুঁড়া – ১ চা চামচ।
১১। তেজ পাতা – ৪-৫ টি।
১২। লং – ২-৩ টি
১৩। এলাচি – ২ টি
১৪। গরম মসলা – ২ ইঞ্চি টুকরা ২ টি।
১৫। লবন- স্বাদমতো
শুটকি ও লতি যেভাবে প্রসেস করবেনঃ প্রথমে লতি কোনো চাকু বা বটির সাহায্যে আঁচড়িয়ে উপরের আবরন তুলে নিন। তারপর দুই ইঞ্চি টুকরা করে ভালো করে ২-৩ বার পানি দিয়ে কচলিয়ে ধুয়ে নিন। শুটকিও দুই থেকে এক ইঞ্চি টুকরা করে পানি গরম করে সেই পানিতে এক থেকে দুই মিনিট রেখে উঠিয়ে নিন। দেখবেন, শুটকি মাছের মূল কাটা থেকে অনেকটা আলাদা হয়ে গেছে। এভাবে দুই থেকে তিনবার পানি চেঞ্জ করার পর যখন দেখবেন তলার পানি একেবারে পরিস্কার ও কোনও বালি নেই, তখন বুঝবেন শুটকি পরিস্কার হয়ে গেছে। এই শুটকি এবার বাটিতে তুলে রাখুন।
এবার, একটি স্টিলের কড়াইতে আধা কাপ তেল দিন। তারপর তেজপাতা, লং, এলাচি ও গরম মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ ভাজুন। ২-৩ মিনিট ভাঁজার পর এবার এতে পেঁয়াজ কুঁচি যোগ করুন। যখন দেখবেন পেঁয়াজ কিছুটা মিইয়ে গেছে ও লালচে হয়ে এসেছে, তখন এতে ধুয়ে রাখা শুটকি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাঁজুন। এভাবে ভাঁজতে ভাঁজতে শুটকির একটা মিস্টি ঘ্রাণ বের হবে। তখন এতে সব গুঁড়া ও বাটা মসলা অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে গুলিয়ে ঢেলে দিন। এবার মসলাটা একটু কষান। এই পর্যায়ে পানি দিবেন না যদি মনে হয়, আরেকটু তেল লাগবে। তাহলে বাকি তেলটুকু দিয়ে দিন।
তেল দিয়ে কিছুক্ষণ কষানোর পর এতে লতির টুকরাগুলো দিয়ে দিন। নেড়েচেড়ে কষান। এই তেলের মধ্যে ভাঁজতেই ভাঁজতেই লতি ও শুঁটকি সেদ্ধ হয়ে যাবে। তাই এতে অতিরিক্ত এক ফোঁটাও পানি লাগবে না। কড়াইটি ভালো করে ঢেকে দিন ও কিছুক্ষণ পর পর এসে নেড়ে দিন। এভাবে ভাঁজতে ভাঁজতে যখন দেখবেন লতি প্রায় সিদ্ধ হয়ে গেছে, তখন কড়াইটি ঢেকে চুলার আঁচ একেবারে লো করে দিন। ১৫-২০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।