ড্রাগন ফল খেতে অনেকটা কলার মত। বেশ মিষ্টি আর টক স্বাদের এই ফলটি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অনেক জায়গায় চাষ হচ্ছে। বিদেশি ফল হলেও এর স্বাদ, গন্ধ আর পুষ্টিগুণের জন্য বাংলাদেশে এটি এখন ব্যাপকভাবে সমাদৃত একটি ফল। এর পুষ্টি গুন কমলা ও গাজরের চাইতে কোনও অংশে কম নয়।
এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকায় ডায়েটে সময় এই ফলটি আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। ড্রাগন ফল সাধারণত কাঁচা হিসেবেই খাওয়া হয়। কারণ পাকলে এর স্বাদ ও পুষ্টিগুন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলের সাদা বা লাল অংশে ২১ মি গ্রা ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা একজন মানুষের দৈনন্দিন ভিটামিন সি এর চাহিদার ৩৪ শতাংশ পূর্ণ করতে সাহায্য করে।
১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে যে পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায় তা একটি কমলা বা তিনটি গাজরের সমান। ভিটামিন সি বেশি থাকায় এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও মানসিক অবসাদ দূর করে ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে ৩ গ্রাম পরিমাণ আঁশ থাকে যা দৈনিক চাহিদার প্রায় ১২ শতাংশের সমান। ড্রাগন ফলের আঁশ কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে সহজে পেট পরিষ্কার করে থাকে।
এই ফলের কালো বীজে ল্যাক্সেটিভ ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা হজমে সহায়তা করে। প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে জলীয় অংশের পরিমাণ ৮৭ গ্রাম, প্রোটিন ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৪ গ্রাম (বলতে গেলে ফ্যাট একেবারেই নেই) ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ১১ গ্রাম।
এছাড়াও এতে বেশ কিছু ভিটামিন ও খনিজ উপদান থাকে যা মানবদেহের সুস্থতার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে ০.০৪ মি.গ্রা. ভিটামিন বি ১, ০.০৫ মি.গ্রা. ভিটামিন বি ২, ২০.০৫ মি.গ্রা. ভিটামিন সি এবং ০.০১৬ মি.গ্রা ভিটামিন বি ৩ থাকে। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে। ড্রাগন ফলে আয়রনের পরিমাণ ১.৯ মি.গ্রা, ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ৮.৫ মি.গ্রা. এবং ফসফরাসের পরিমাণ ২২.৫ মি.গ্রা.।