ছোট বড় সকলেই মিস্টান্ন খেতে পছন্দ করে। মিস্টির মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে গোলাপজামুন মিষ্টি। নাস্তার জন্য প্রায় বাসাতেই পাউরুটি খাওয়া হয়। অতিরিক্ত বেঁচে যাওয়া পাউরুটি ফ্রিজে না ঢুকিয়ে রেখে তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার গোলাপ জামুন মিষ্টি। এমন রেসিপিই আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী তাসনুভা রোজ নওরিন।
যা যা লাগবেঃ
- পাউরুটিঃ ৬ টুকরা।
- গুড়াদুধঃ ২ টেবিল চামচ।
- ক্রিম বা মাওয়াঃ ১ টেবিল চামচ।
- তরল দুধঃ ২-৩ টেবিল চামচ বা পরিমাণ মত।
- ক্যারামেল বা সিরার জন্য
- চিনিঃ ১ কাপ।
- পানিঃ ১ কাপ।
- এলাচঃ ২-৩ টি।
কিভাবে বানাবেনঃ এর আগে আমি বেবি মিস্টির একটি রেসিপি পোস্ট করেছি। ওইটাতে ময়দার পরিমাণ খুব কম ও গুঁড়া দুধের পরিমাণ বেশি ছিলো। এই রেসিপিতে আমরা যেহেতু পাঊরুটি ব্যবহার করছি, তাই গুঁড়াদুধের পরিমাণ কম দিতে হবে। কিন্তু ক্রিম অথবা মাওয়া দিতে। দুধ ঘন করে জ্বাল দিয়ে আঠালো ও শক্ত করে নিলেই মাওয়া তৈরি হয়ে যায়। প্রথমে সব উপকরণগুলো পরিমাণ মত করে নিয়ে নিন। এবার মিস্টি বানানো শুরু করুন।
প্রথমেই চিনির সিরা তৈরি করুন। চুলায় কোনও খালি প্যানে এক কাপ চিনি ও এক কাপ পানি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। একটা বলক উঠে আসলেই চুলা বন্ধ করে দিন।
পাউরুটির শক্ত কিনারাগুলো কেটে নিয়ে ব্লেণ্ডারে মিহি করে ব্লেণ্ড করুন। এবার এর সাথে গুঁড়া দুধ, মাওয়া ও তরল দুধ মিশিয়ে ডো বানিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, যেনো খুব বেশী শক্ত না হয়।
এবার হাত দিয়ে চেপে চেপে গোল গোল করে গরম তেলে ভেজে নিন। সময় নিয়ে ভাজবেন। ভাজার পাশাপাশি সিরার চুলাটা অল্প আঁচে জ্বালিয়ে রাখুন। জামুন ভাঁজা হলে গরম সিরায় দিয়ে দু এক মিনিট জ্বাল দিয়ে তিন থেকে চার ঘন্টা ঢেকে রাখুন। হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে দিন আরও এক ঘন্টা। তারপর পেস্তা বাদাম কুঁচি বা মাওয়া কুঁচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সিরা কখনোই খুব বেশি ঘন করবেন না। খুব বেশি ঘন হয়ে গেলে সিরা মিস্টির ভিতর ঢুকে না। আর কম আঁচে ডুবো তেলে ভাঁজতে হবে। আঁচ বাড়ানো হলে মিষ্টির ভিতর কাঁচা থাকতে পারে বা উপরের অংশ বেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই এই দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন।