মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে খাদ্যের পরই বস্ত্রের স্থান। খাবার যেমন একটা মানুষের জন্য জরুরী, একইভাবে তার লজ্জা নিবারণের জন্য বস্ত্রও অত্যন্ত জরুরী। আজকাল বেশিরভাগ মানুষ কাপড় কিনে বাইরে সেলাই করতে দিয়ে থাকেন। আর এ কারণেই সেলাই কোনো কোনো নিন্মবিত্ত মানুষের রুটি রুজির একটি মাধ্যম।
এই রচনার উদ্দেশ্য তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন কেড়ে নেয়া নয়, বরং কোনো কারণে যদি তাদের কাছে আপনার জামাটি সেলাই করতে না দিতে পারেন, তখন যাতে নিজের জামাটি নিজেই সেলাই করে নিতে পারেন।
শরীরের মাপ অনুযায়ী একটি পারফেক্ট জামা বানাতে হলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়:
১। মেজারিং: মেজারিং বা পরিমাপ হচ্ছে দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সঠিক মাপ নেয়া, যাতে জামাটি ভালোভাবে তৈরি করা যায়। এক্ষেত্রে ভুল হলে জামা সেলাইয়ের পর তা শরীরের সঙ্গে মানাবে না।
২। ড্রাফটিং: ড্রাফটিং হচ্ছে মাপ অনুযায়ী কাগজের উপর জামার আকৃতি এঁকে একটি টেম্পলেট তৈরি করা। এক টেম্পলেট দিয়েই একই মাপের অসংখ্য জামা বানানো যায়।
৩। কাটিং: ড্রাফটিং করার পর কাগজের টেম্পলেট কাপড়ের উপর বসিয়ে পিন দিয়ে আটকে নিতে হয়। তারপর সেই অনুযায়ী কাটিং মেশিন বা কাঁচি দিয়ে কেটে নিতে হবে।
৪। পিনিং: পিনিং হচ্ছে কাপড়ের ধার একত্র করে সেলাইয়ের জন্য পিন দিয়ে আটকে নেয়া। এভাবে আটকে নিলে সেলাই মেশিন বা হাতে সুঁই ও সুতা দিয়ে সেলাই করতে সুবিধা হয়।
৫। সুইং: সুইং বা সেলাই হচ্ছে কাপড় জোড়া লাগানো ও কাটা অংশের ধার মুড়ে দেয়ার একটি পদ্ধতি। কাপড় বা ফেব্রিক ভেদে অনেক সময় আঠা বা গরম আয়রন দিয়েও এই কাজটি করা হয়।
৬। ফিনিশিং: সেলাই সম্পূর্ণ হওয়ার পর কাপড়ের বর্ধিতাংশ ও বাড়তি সুতা কেটে ছাঁটাই করা ও ধার মুড়ানো ফিনিশিং এর অংশ। এছাড়াও বানিজ্যিক ভাবে পোশাক তৈরি করলে এর সংগে আয়রন ও প্যাকেজিং যুক্ত হবে।
ব্যস, জামার ডিজাইন অনুযায়ী এই ছয়টি ধাপ একের পর এক নিখুঁত ভাবে করলেই একটি সুন্দর পরিধেয় বস্ত্র তৈরি হয়ে যাবে। আজ এ পর্যন্তই। জামার ডিজাইন প্যাটার্ন ও সেলাই নিয়ে আরেকদিন কথা হবে। সবাই ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন।