ঘরকন্নার অন্যান্য কাজের মত রান্নাবান্নাও একটি আবশ্যকীয় কাজ যা প্রতিদিন করতে হয়। রান্না করা বেশ সহজ, যদি সঠিক পদ্ধতিতে ধাপে ধাপে কাজটি করা যায়। প্রথম প্রথম রান্না করতে গেলে বেশ ঝামেলার কাজ মনে হতে পারে। প্রথম প্রথম আপনার রান্না মোটেও ভালো হবে না। তবে এ নিয়ে মন খারাপ করবেন না। রান্না করতে করতে এক সময় রান্না করাটা আপনার কাছে পানির মত সহজ হয়ে যাবে। রান্না করতে হলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়।

১। রেসিপি দেখা: কোনো একটা খাবার সঠিক ভাবে রান্না করতে হলে অবশ্যই আপনাকে রেসিপি দেখতে হবে। রেসিপি না দেখে রান্না করা আর আন্দাজে ঢিল ছুড়ে মারা একই কথা। তাই যেকোনো রান্না করার আগে রেসিপি দেখে নিতে একেবারেই ভুলে যাবেন না।
২। পরিমাণ মত উপকরণ নেয়া: রেসিপি দেখলেন, কিন্তু উপকরণগুলো যদি ঠিকভাবে যোগাড় না করেন বা রেসিপিতে উল্লেখিত পরিমান অনুযায়ী না দেন, তাহলে কিন্তু আপনার রান্না মোটেও ভালো হবে না। মনে রাখবেন রান্নার কৌশল কিন্তু পরিমানের উপর অনেকাংশেই নির্ভর করে।
৩। উপকরণ তৈরী করা: রান্না করার আগে বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করে নিতে হয়। যেমন, কাঁচা সবজি, মাছ, মাংস কেটে নিতে হয়। বিভিন্ন মসলা ও আদা রসুন বেটে নিতে হয়। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের উপকরণ রেসিপিতে যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবে তৈরি করে নিতে হয়
৪। উপকরণগুলো ভালো ভাবে ধৌত করা: রান্নার শুরুতে কাটার আগেই কাঁচা উপকরণগুলো ধুয়ে নিতে হয়। কিছু উপকরণ কাঁটার পরেও ধোয়া যায়। তবে খুব বেশী ধোয়া হলে খাবারের পুষ্টিগুণ ও খাদ্যমান কমে যেতে পারে। যেমন, সবজি, মাছ ও মাংস কাটার পর খুব বেশী ধোয়া ঠিক নয়।
৫। চুলায় কড়াই বসিয়ে একে একে উপকরণ দিয়ে রান্না করা: সবশেষে আসে রান্না করার পালা। সমস্ত উপকরণ তৈরি হয়ে গেলে চুলায় কড়াই বসিয়ে তেল গরম করে, রেসিপির নির্দেশনা অনুযায়ী রান্না করে ফেললেই হয়ে গেলো মজাদার খাবার রান্না।
আর হ্যাঁ, রান্না আসলে এভাবেই করতে হয়। রান্নার পর পছন্দ অনুযায়ী পাত্রে খাবার ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন।