মধুর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। মধু চুলের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে যাদের মাথার ত্বকে খুশকির কারণে ঘা ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে গেছে, তাদের জন্য মধু তাৎক্ষণিক ভাবে উপশমকারী।
আজ আমরা মধুর তৈরি একটি ক্লিনজার নিয়ে আলোচনা করবো, যা মাথার ত্বকের খুশকি দূর করার পাশাপাশি চুলের গোড়া মজবুত ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
যাদের চুল অনেক মোটা, কোঁকড়ানো, ঘন বা জমাট বেঁধে থাকে এই ক্লিনজার বা শ্যাম্পুটি তাঁরা ব্যবহার করবেন না। এ ধরনের চুলে মধু ভালোভাবে পরিষ্কার হবে না। যার ফলে, চুলে খুব দ্রুত জমাট বেঁধে যাবে, এবং চুলে মধু থাকার ফলে পোকামাকড় আকৃষ্ট হবে। এটি কেবল স্বাভাবিক ও স্ট্রেইট চুলের অধিকারীদের জন্য ভালো কাজ করবে।
এই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে আপনার ত্বক খুশকি মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি মাথার ত্বকের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি কমাবে। শুধু তাই নয়, মধু আপনার চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও আর্দ্রতা যুগিয়ে চুলকে আরো মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী করে তুলবে।
এই শ্যাম্পুটি বানাতে আপনার নিচের উপকরণগুলো লাগবেঃ
- এক টেবিল চামচ মধু।
- দুই টেবিল চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার।
- ৪ আউন্স অ্যালোভেরা জেল।
- ১ চা চামচ গলানো নারিকেল তেল।
- ২ টেবিল চামচ ক্যাস্টিল সোপ বা মাইল্ড শ্যাম্পু।
- ৩ টেবিল চামচ পানি, এবং
- ১০ ফোঁটা চা পাতার তেল।
এই মিশ্রণগুলো একত্রে ডাবল বয়েলার পদ্ধতিতে মিশিয়ে নিন। প্রথমে একটি বড় বোলে গরম পানি বসিয়ে তার উপর কাঁচের বাটিতে সব উপকরণগুলো মেশান। এক পর্যায়ে হালকা ধোঁয়া উঠতে থাকলে নামিয়ে নিন। কোনও একটি বোতলে ভরে ভালো করে ঝাকিয়ে নিন। শ্যাম্পুতে কোনও প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় নি। তাই এটা অবশ্যই ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে সংরক্ষন করতে হবে।
মাথায় দেয়ার আগে কিছুটা গরম করে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। মাথা ধোয়ার পর ত্বক ও চুল আঠালো মনে হলে মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। কয়েকবার ব্যবহার করার পরই ফলাফল বুঝতে পারবেন।