স্তন্যপায়ী প্রতিটি প্রানীর শরীর লোম দিয়ে ঢাকা। এই লোম আমাদের ত্বককে বাইরের ক্ষতি থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। লোমের কারণে ত্বকের অনুভূতি শক্তি অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু অনেক সময় এই লোম আমাদের অস্বস্তি এবং সৌন্দর্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
প্রাকৃতিক ও হরমোন জনিত কারণে পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের শরীরে লোম এমনিতেই কম থাকে। কিন্তু শরীরের এমন কিছু জায়গা আছে, যেখানে লোম থাকা নিন্দনীয় এবং সৌন্দর্য হানিকর।
এমন কিছু জায়গা হচ্ছে, পিঠ, পেট, হাত, পা ও বুক ও আরো কিছু গোপন জায়গা। যেসব জায়গায় লোম হওয়ার কারণে অস্বস্তিবোধ হয় এবং রোগ জীবাণু হওয়ার আশংকা থাকে, সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয়। ৪০ দিনের বেশী সময় ধরে এগুলো পরিষ্কার না করলে গুনাহ হবে।
আজকে আমি এসব লোম থেকে সহজে মুক্তি পাওয়ার বেশ কিছু উপায় বলবো।
১। ট্রিমিং: সহজ ভাষায় ট্রিমিং হচ্ছে ছাঁটাই করা। আজকাল বাজারে অনেক ইলেকট্রিক ট্রিমার কিনতে পাওয়া যায় যেগুলো দিয়ে খুব সহজেই ট্রিমিং করা সম্ভব।
২। থ্রেডিং: থ্রেডিং হচ্ছে সুতার সাহায্যে লোম তুলে ফেলা। থ্রেডিং করা বেশ যন্ত্রণাদায়ক। এর ফলে ত্বক ফুলে যেতে পারে ও অনেক সময় রক্ত বের হয়। তাই স্পর্শকাতর’ জায়গায় থ্রেডিং করবেন না।
৩। শেভিং: এটি লোম দূর করার একটি যন্ত্রনামুক্ত পদ্ধতি। সাধারণত ধারালো ক্ষুর বা ব্লেডের সাহায্যে এটা করা হয়। কিন্তু স্পর্শকাতর জায়গায় শেভিং করার সময় সতর্ক না হলে ত্বক কেটে যেতে পারে।
৪। ওয়াক্সিং: এ পদ্ধতিতে মোমের সাথে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরী করা হয়, যা গরম পেলে গলে যায়। কিন্তু ত্বকে লাগালে তাপ অনুভুত হয় না ও খুব দ্রুত ঠান্ডা হয়ে জমাট বেঁধে যায়। পরে, তা টান দিয়ে উঠালে লোমসহ উঠে যায়। এ পদ্ধতিতে লোম টেনে তোলার ফলে ব্যাথা পাওয়া যায়। তাই, সাথে সাথেই বরফ ঘষে দিতে হয়।
৫। সুগারিং: ওয়াক্সিংয়ের মতই। তবে এক্ষেত্রে মোমের পরিবর্তে চিনি ও লেবুর রস জ্বাল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করা হয়।
৬। স্ট্রাইপিং: এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রাকৃতিক আঠা ব্যবহার করা হয়। তেমন আম, কলাগাছের আঠা ইত্যাদি। পদ্ধতি ওয়াক্সিং এর মতই।
৭। চিমটার ব্যবহার: চিমটা ব্যবহার করেও অনেকে অবাঞ্ছিত লোম দূর করে থাকেন।
৮। লোমনাশক লোশন ও ক্রিম: যেমন ভিট। আমাদের দেশে এটা অনেক প্রচলিত একটি পদ্ধতি। তবে এগুলোতে অনেক শক্তিশালী কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, যা ত্বকের স্পর্শ কাতর জায়গায় ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
৯। লোমনাশক স্প্রে: উন্নত দেশে বুক, পিঠ, হাত ও পায়ের অতিরিক্ত লোম দূর করতে লোম নাশক স্প্রেও ব্যবহার করা হয়।
১০। ইলেক্ট্রোলাইট/লেজার রশ্মির ব্যবহারঃ উন্নত বিশ্বে ইলেক্ট্রোলাইট বা লেজার রশ্মি দিয়ে ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম সাময়িক বা স্থায়ীভাবে দূর করা যায়। এটি একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি।
useful information
Nijer Jibon(শরীরের লোম তোলার সহজ উপায়)