কলা একটি পুষ্টিকর খাবার। সাধারনত দুধের মধ্যে যেসব পুষ্টিগুণ থাকে, কলার মধ্যে সেসবের বেশীরভাগই থাকে। চলুন দেখে নেই, প্রতিদিন দুইটি করে কলা একমাস খেলে আপনার দেহে যা যা পরিবর্তন ঘটবেঃ
১। শক্তি বাড়বেঃ কলাতে সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজের মত চিনি জাতীয় উপাদান থাকে। এগুলো আপনার তাৎক্ষনিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
২। কষ্ঠোকাঠিন্য ও ডায়রিয়া থাকলে তা দূর করবেঃ স্বাভাবিকভাবে কলা পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। এবং পরিপাকতন্ত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই ডায়রিয়া ও কষ্ঠোকাঠিন্যের মতো রোগ থাকলে তা দূর হয়।
৩। কলা পানিশূন্যতা দূর করতে খুবই কার্যকরঃ পাকা কলা ভালো ব্লেন্ড করে ক্রিমের মত করে খাওয়ালে বাচ্চাদের পানিশূন্যতা খুব সহজেই দূর করতে পারে।
৪। মাতলামি দূর করতেঃ যাদের নিয়মিত অ্যালকোহল পান করার অভ্যাস আছে, তাঁরা মাতলামি দূর করতে অল্প পরিমাণ মধু ও দুধ দিয়ে কলার মিল্কশেক বানিয়ে খেতে পারেন। এর ফলে আপনার পেট ঠান্ডা ও পেটের অস্বস্তি দূর হবে, এবং মদের কারণে তৈরি হওয়া পানিশূন্যতা দূর হবে।
৫। ধূমপানের অভ্যাস দূর করতেঃ আমরা সবাই জানি, ধূমপান মানে বিষপান। তারপরও অনেকে এই অভ্যাস ছাড়তে পারে না। আপনি জানেন কি, কলাতে পটাশিয়াম, ভিটামিন ও ম্যাগনেশিয়াম থাকার কারণে শরীর থেকে নিকোটিনের মতো বিষ দূর করতে সাহায্য করে।
৬। মেজাজ ভালো রাখতে সহায়কঃ কলাতে ট্রিপ্টোফেন নামে একটি অ্যামিনো এসিড থাকে যা স্টেরোটোনিন নামক হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে। এর ফলে মন মেজাজ ফুরফুরে ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকে। যার ব্যাপক প্রভাব আপনার প্রতিদিনের কাজে পড়বে।
৭। মস্তিস্কের কার্যকারিতা বাড়াতেঃ কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় তা মস্তিষ্কের কার্যকরীতা বাড়াতে ও মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে সহায়তা করে।
৮। কিডনির জটিলতা দূর করতেঃ কলাতে কার্বোহাইড্রেট বেশী থাকায় ও প্রোটিন কম থাকায় তা কিডনির জটিলতা দূর করতে বেশ কার্যকর।
৯। অতিরিক্ত ওজন কমাতেঃ গুঁড়া দুধের সাথে কলার মিল্কশেক ওজন কমাতে বেশ উপকারী। তাই ব্যায়ামের পর সাপ্লিমেন্টের পরিবর্তে এটা খেতে পারেন।
১০। হার্টস্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমাতেঃ কলাতে পটাশিয়াম থাকার কারণে তা দেহের কোষে তরল ও ইলেক্ট্রোলাইটের ব্যালেন্স রক্ষা করে ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে, যা হার্টস্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমায়।
১১। রক্ত ভালো রাখেঃ কলাতে ভিটামিন বি৬ থাকে যা রক্তে হিমোগ্লোবিন ও অ্যান্টিবডি বাড়িয়ে রক্ত ভালো রাখতে সহায়তা করে।
১২। হাড়ের ক্ষয়রোধ করতেঃ কলাতে থাকা পটাশিয়াম ক্যালসিয়ামের শোষণ বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে অস্টিওপেরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
১৩। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেঃ নিয়মিত কলা খেলে ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের মতো রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, যা বয়স্ক লোকদের ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি হারানোর জন্য দায়ী।
সূত্রঃ ডেমিক ব্লগ