ত্বক পরিষ্কার করার জন্য আমরা বাজার থেকে প্রায়শই বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেলযুক্ত ফেসওয়াশ ও মাস্ক কিনে থাকি। কিন্তু এগুলোতে অনেক সময় সাইড ইফেক্ট থাকে। আজকে আমি এমন একটি ত্বক পরিষ্কার করার মাস্ক শেয়ার করবো যা কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই আপনার ত্বক পরিষ্কার করবে। আর এতে ১০০% প্রাকৃতিক উপাদান থাকায় কোনও ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। তবে, এতে যেহেতু হলুদ ব্যবহার করা হয়েছে, তাই এই মাস্কটি দিয়ে কোনোভাবেই রোদে যাওয়া ঠিক নয়।
হলুদ, মধু ও টকদই তিনটি উপাদানই ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শুধু ত্বক নয়, এই তিনটি উপাদান খাওয়াও অনেক উপকারী।
হলুদে আছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান কারকিউমিন যা মুখের চর্মরোগ ও চুলকানির মতো উপসর্গ দূর করে। এছাড়াও কোনো ঘা বা রোদে পোড়া ভাব থাকলে তাও সারিয়ে তুলতে পারে।
আমরা নিচে যেই মাস্ক বানানোর পরিমাণটি দিচ্ছি, তা মোটামুটি তিনবার ব্যবহার করা যাবে। আর বানাতে সময় লাগবে ১৫ মিনিট।
এই মাস্কটি পরিনত ত্বকের জন্য বেশ ভালো। সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে হলুদ ত্বকে বিস্ময়কর কাজ করে। এটা প্রদাহ বিরোধী তাই ব্রণের জন্যও ভাল। হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বক কুঁচকে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
তবে, এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে: খুব বেশি পরিমাণে হলুদ ব্যবহার করা হলে ত্বকের রং হলুদ হয়ে যেতে পারে।
ব্যবহার করার আগে পরীক্ষা করুন: এই মাস্কটি আপনার মুখে লাগানোর আগে আপনার কব্জির ত্বকে অল্প পরিমাণে লাগিয়ে পরীক্ষা করুন।
হলুদ টকদই ও মধুর মাস্ক তৈরি করতে যা যা লাগবেঃ
- ⅛ থেকে ¼ চা-চামচ তাজা বা গুঁড়ো হলুদ
- ২ টেবিল চামচ প্লেইন দই
- ১ টেবিল চামচ মধু
- ২ চা চামচ গুঁড়া দুধ
১। একটি ছোট বাটিতে সমস্ত উপাদান একত্রে ভাল করে মিশ্রিত করুন।
২। একটি বায়ুরোধী কন্টেইনারে সংরক্ষণ করুন।
যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ
আপনার মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ১-২ চা চামচ মাস্ক লাগান, আপনার ঘাড়ের নীচ থেকে শুরু করে উপরের দিকে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে দিন। চোখ, নাকের ছিদ্র এবং ঠোঁট বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ ত্বকে এটা লাগান। ৫-১৫ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন। এবার, হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সংরক্ষণ: এয়ার টাইট বক্সে রেখে ১-২ সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বেশ কয়েকবার ব্যবহারের জন্য একবারেই প্রস্তুত করে রাখতে পারেন। এই মাস্কটি প্রতি সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করা যাবে।