আজকে আমরা দেখবো কিভাবে কাপড়ে প্রাকৃতিক উপায়ে রং করতে হয়। বাজারে বর্তমানে এমন কোনও প্রাকৃতিক এবং অ-বিষাক্ত ফ্যাব্রিক পেইন্ট নেই যা স্থায়ীভাবে কাপড়ে বসে যাবে এবং পানি দিয়ে ধুয়ে দিলে উঠবে না। তবে এই টিউটোরিয়াল পড়ে আপনি এখন নিজের জন্য এমন ফেব্রিক পেইন্টিং এর কাপড় তৈরি করতে পারবেন!
যেসব উপাদান লাগবে:
- শুকনা সয়াবিন।
- প্রাকৃতিক রং (এখান থেকে কিনুন)
- গাম ট্রাগাকান্থ (এখান থেকে কিনুন)
এছাড়াও লাগবেঃ
- অরগানিক কটন ক্যানভাস বা অন্য কোনও কটন ফেব্রিক
- জার
- ব্লেন্ডার
- মসলিন ফেব্রিক/চিজ ক্লথ/অথবা ডিশ তাওয়েল
- রঙের জন্য আলাদা বোল ও চামচ
- পেইন্ট ব্রাশ
- ডিটারজেন্ট
ধাপ ১ঃ সয়ামিল্ক তৈরি করা
১। চার ভাগের এক কাপ সয়াবিন অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে একটি জারে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন।
২। সকালে সয়াবিন ছেঁকে আলাদা করে নিন এবং তিন কাপ কুসুম গরম পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে চার মিনিট ব্লেন্ড করে নিন।
৩। এবার একটি বোলের উপর মসলিন ফেব্রিক রেখে তাতে ব্লেন্ড লিকুইড ঢেলে দিন।
৪। এবার আরও দুই কাপ পানি মিশিয়ে আরও একবার ব্লেন্ড করুন। দুইবার ব্লেণ্ড করা ও ছাঁকার পর বাকি যেই সয়াবিন থাকবে সেগুলো ফেলে দিন।
৫। এবার ছেঁকে নেয়া দ্রবণ যদি গাঁড় হয়, তবে এর সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে স্কিম মিল্কের মতো পাতলা করে নিবেন।
৬। আপনার কটন ক্যানভাস/ফেব্রিকটি এবার সয়া মিল্কে সম্পূর্ণ ভিজিয়ে নিন। এবার রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিন।
৭। এবার যেই লিকুইড থাকবে তা পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য আলাদা এয়ার টাইট কনটেইনারে সংরক্ষন করুন।
ধাপ ২ঃ পেইন্ট কিভাবে তৈরি করবেন
১। ১ চা চামচ গাম ট্রাগাকান্থ বা গঁদের আঠার সাথে আধা চা চামচ প্রাকৃতিক রং মেশান।
২। এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ সয়া মিল্ক লিকুইড ভালো করে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনবোধে আরও ১/৪ চা চামচ সয়ামিল্ক মিশিয়ে নিন যতক্ষন না আপনার চাহিদামাফিক ঘনত্ব পাচ্ছেন।
৩। আপনার রংগুলো একটি বায়ুরোধী কন্টেইনারে সংরক্ষণ করুন এবং ব্যবহার করার আগ পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে দিন।
ধাপ ৩ঃ পেইন্টিং
১। আগে থেকে তৈরি করা ফেব্রিক এবং পেইন্ট ও ব্রাশ সব কিছু একত্রিত করে নিন
২। আপনার নিজস্ব ডিজাইন তুলির সাহায্যে ফেব্রিকে ফুটিয়ে তুলুন।
৩। সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনার রং করা ফেব্রিকটি খোলা বাতাসে কমপক্ষে দুই দিন পর্যন্ত শুকিয়ে নিন।
ধাপ ৪ঃ ধোয়া এবং বাঁধাই করা
১। কয়েকদিন পর আপনার ফেব্রিকটি ডিটারজেন্টের সাহায্যে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। বেশী ঘষাঘষি না করে হালকাভাবে ধুয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিন।
সব প্রক্রিয়া শেষে, আপনি খুব সুন্দরভাবে প্রাকৃতিক রং দিয়ে পেইন্ট করা একটি ফেব্রিক পেয়ে যাবেন, যা একান্তই আপনার নিজস্ব। এই রং করার প্রক্রিয়া পাকা হয়ে থাকে তাই সহজে উঠবে না। এবার এই রং করা ফেব্রিক দিয়ে আপনি যেকোনো কিছু তৈরি করতে পারেন।