একসময় ডায়রী লেখার বিস্তর অভ্যাস ছিলো। তবে প্রতিদিনের খুঁটিনাটি বিষয়বস্তু লিখে রাখার অভ্যাস আমার কখনোই ছিলো না। আমি বেশিরভাগ সময় ডায়রীতে এক দুই লাইন করে কবিতা লিখতে পছন্দ করতাম। তবে সেই কবিতাগুলো একটু বড় হওয়ার পর পড়লেই মনে হতো অপরিপক্ক হাতের লেখা। তাই বড় হওয়ার পর সব নষ্ট করে ফেললাম। তারপর থেকে যা লিখি, তা ব্লগে।
একান্তই যেসব জিনিস নিয়ে জানতে মন চায় সেগুলোই এখন লিখি ও পড়ি। এই যেমন এখন পাইথন প্রোগ্রামিং নিয়ে প্রচুর পড়ছি। তবে এটা নিয়ে কিছুই লিখবো না। কারন, এমন কিছু জিনিস থাকে, যেগুলো জানলে ও বুঝলেও লেখার ইচ্ছা মোটেও থাকে না। আর হ্যা, ফ্রিতে যদি সবাই সব কিছু জেনে যায়, তাহলে আর পয়সা খরচ করে শিখতে স্কুল, কলেজে যাবে কেন?
আর যারা শিক্ষাদানে নিয়োজিত আছেন, তাদেরও রুটি রুজির প্রশ্ন আছে। তাই, কিছু কিছু জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও জানাশোনা গোপনেই থাকুক। গুরুর কাছে গিয়ে শিখে নিক মানুষ। এটাই চাই।
আসলে, নিজে নিজে কোনোকিছু শেখা, গুরুর কাছে গিয়ে শেখার চেয়েও অনেক বেশি কঠিন। তবে এখানেও কিছু আনন্দ থাকে। এই শেখাটা আসলে ঠেকে শেখা। ভুল গুলোর কথা চিরকাল মনে থাকবে।
ছোট খাটো মান অভিমান থাকে মানুষের। যত্ন করে তা তুলে রাখে ডায়রীর পাতায়। কেন জানি, আমার এই অভ্যাসটা নেই। আমার মনে হয়, এমন কোনো সম্পর্ক নিয়ে ডায়রী লেখা বোকামি, যার স্থায়ীত্ব সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত ও নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না। সেটা যে ধরনের সম্পর্কই হোক না কেন!
ডায়রি আসলে একজন মানুষের জীবনী। মানুষ তার জীবনীতে শুধুমাত্র সফলতা গুলোই তুলে ধরতে চায়। ব্যর্থতাগুলো সযত্নে আড়াল করে রাখে। একজন মানুষের ডায়রীও এমন হওয়া উচিত।
সিদ্ধান্ত। খুব ছোট একটি শব্দ। কিন্তু এর প্রভাব ব্যাপক। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে মানুষের জীবন থেকে মূল্যবান অনেক কিছুই হারিয়ে যেতে পারে। আবার এক মূহুর্তের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
জীবন চলে যায়। এমন একটা নদীর মতো যা কখনোই কারো জন্য থেমে থাকে না। খুব কাছের মানুষ ছাড়াও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। জীবনের প্রয়োজনেই মানুষকে শোক/দুঃখ ভুলে গিয়ে নতুনভাবে শুরু করতে হয়।
ব্যাথা। মানসিক অথবা শারীরিক। ঔষধেই কেবল কমে না। অনেক সময় স্বান্তনাতেও অনেকখানি কমে যায়। “সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে”, “সামনের দিনগুলো ভালো হবে” অথবা “চিন্তা করো না! সুস্থ হয়ে যাবে।” এই কথাগুলোও একজন নিঃস্ব মানুষ, হতাশ ব্যক্তি বা মুমুর্ষ রোগীকে নতুনভাবে বাঁচার প্রেরনা যোগাতে পারে।
টাকা, পয়সা দিয়ে সাহায্য, এটাই সবচেয়ে বড় সাহায্য নয়। বরং এটা কিঞ্চিৎ সাহায্য। সবচেয়ে বড় সাহায্য হচ্ছে জ্ঞান দিয়ে, অনুপ্রেরণা দিয়ে, সাহস দিয়ে ও সহানুভূতি দেখিয়ে সাহায্য করা। এর চেয়ে বড় আর কোনো সাহায্য কোনোদিনই হতে পারে না।