দেখতে দেখতে রমজান মাসটা চলে গেলো। ঈদের দিনে আমার খুশি হওয়ার পাশাপাশি একটা বেদনাও থাকে। রমজান শেষ হয়ে যাওয়ার বেদনা। রমজানে অল্প কিছু খেয়েই সারাদিন রোজা রাখার অভ্যাস গড়ে উঠলেও রমজানের বাহিরে এই বিষয়টা প্রায় অসম্ভব মনে হয়।
তাই শাওয়ালের ছয় রোজা বিরতি দিয়েই রাখবো বলে ঠিক করেছি। রমজানের বাহিরে একটা রোজা রাখতেই যেনো মাথাটা বন বন করে ঘুরছে। শরীরও অনেক দূর্বল মনে হচ্ছে। অথচ রমজানে এই বিষয়টা টেরই পেলাম না। এতেই বুঝা যায় এই মাসে আল্লাহর খাস রহমত থাকে সব বান্দার উপর।
যাই হোক, ভালো মন্দ মিলিয়ে আমাদের ঈদ কেটে গেলো। অথচ, ফিলিস্তিনিদের উপর ঈদ এসেছে বিকট বোমার আওয়াজ আর অন্তহীন পেরেশানি নিয়ে। আল্লাহ তাঁদের ও বিশ্বের সব মুসলিমদের অন্তহীন পেরেশানি থেকে রক্ষা করুন।
কয়েক বছর যাবত প্রত্যেক ঈদে আনন্দের পাশাপাশি একটা না একটা খারাপ খবর থাকেই। গত বছর করোনার কারণে সবাই চরম আতঙ্কে ছিলো। এই অবস্থা এখনো কাটে নাই। এই আপদ কবে দূর হবে আল্লাহই ভালো জানেন। তবে আল্লাহ যেনো এই অবস্থা অতি তাড়াতাড়ি দূর করে দেন, মনে প্রাণে শুধু এই দু’আই করছি।
রমজানে ঠিক টাইমে খেতে গিয়ে ঘুমের রুটিন বদলে গেছে। এটা ঠিক হতে কিছুদিন লাগবে। তাই এখন এই সুযোগে ছয় রোজা রাখতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে।
যত যাই হোক, এখন তো আর রমজান মাস না। তাই একটু বুঝে শুনে রোজা রাখতে হবে, আর কি। তবুও আল্লাহর এমন বান্দাও আছে, যারা রোজার পর রোজা রেখেও ক্লান্ত হয় না।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকুক। আর আরো বহুবার যেনো রমজানের সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয়। আল্লাহ যেনো সবার নেক আমল ও নেক উদ্দেশ্য সমূহ পূর্ণ করেন। আমিন।