ওজন কমাতে চাই। কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় কেজি ওজন কমানো খুবই প্রয়োজন। কিন্তু সারাদিন ঘরে বসে থেকে বাড়তি ক্যালোরির খাবার খেয়ে ওজন কমানো কি আদৌ সম্ভব?
অনেক হ্যাংলা পাতলা, খাবারের প্রতি অনাগ্রহী মানুষকেও দেখা যাচ্ছে, দিব্যি ওজন বাড়িয়ে বসে আছে। সেক্ষেত্রে রসনা বিলাসী, খাবার প্রেমী মানুষের ওজন যে বাড়বে এটা তো জানা কথাই।
যাই হোক। উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী বর্তমানে ক্যালোরী চাহিদার ৪০% থেকে ৫০% শতাংশ ক্যালোরি গ্রহণ না করলেই ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এটা একটা সাধারণ ধারণা।
তবে শরীরে জমানো মেদ কমাতে রোজার বিকল্প আসলে কিছুই নেই। সমস্যা হচ্ছে, টানা রোজা রাখলে মুড সুইং ও মেজাজ খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই একদিন বাদ দিয়ে দিয়ে রোজা রাখাই সবচেয়ে উত্তম।
এবার আসি রোজার পর ইফতার বা ডায়েটের আলোচনায়। সারাদিন রোজার পর ইফতারে আমরা ভাজা পোড়া খাবার ও মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খাই। এর দ্বারা আসলে ডায়েটের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়ে যায়।
ডায়েটের সময় অবশ্যই চিনি ও সাদা ভাত পরিহার করতে হবে। এবং ফল সবজি ও কাঁচা সালাদ, ফলের রস এসব বেশি খেতে হবে।
মাঝেমধ্যে এক দুই বাটি ভাত খাওয়া যায়। তবে পেটের চর্বি একেবারে কমিয়ে ফেলতে চাইলে ভাতের পরিবর্তে কর্ণফ্লেক্স বা যবের রুটি খেতে পারেন। এসব খাবার হজমে বেশি সময় ও ক্যালোরি নেয়। এবং পেট ভরার পাশাপাশি অল্প পরিমাণে ক্যালোরি সরবরাহ করে।
ওজন কমানোর প্ল্যান নিয়ে সামনে আরো কিছু রচনা লিখবো। তবে ওজন কমানোর পাশাপাশি নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালোরি ক্ষয় হচ্ছে কিনা, সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ ক্যালোরি ক্ষয় না হলে যত কম খাবার গ্রহণ করা হোক না কেন, প্রকৃত ওজন আসলে কখনোই কমবে না।
দেহ ঘড়ি বলে একটা কথা আছে, সবার আগে এর যত্ন নেয়া দরকার। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও সঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠার মাধ্যমে শুরু করুন। তারপর সঠিক সময়ে খাবার, ঘুম, গোসল ইত্যাদি ঠিক করে নিন। এর সঙ্গে যোগ করুন এক থেকে দেড়, দুই ঘন্টা ব্যায়াম। ব্যস, দেখবেন ফিট থাকা আসলেই কোনো ব্যাপার না।
ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়ামের মধ্যে আছে হাঁটা, দৌড়ানো ও দড়ি লাফ। এগুলোর যেকোনো একটা দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে পরিধি বাড়াতে পারেন। আশা করা যায় দুই থেকে তিন মাস এই রুটিন ফলো করলে ওজন উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে। সবার সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।