Skip to content

পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জন করতে চাইলে যা করতে পারেন

কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন

ছাত্রবস্থায় অনেকেরই বাড়তি কোনও উপার্জন থাকে না। বেশীর ভাগ সময়ই খাওয়া-দাওয়া ও টিউশন ফী এর জন্য বাবা মায়ের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। তবে যারা ছাত্র আছেন, তাঁরা কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই নিজের খরচের টাকা নিজেই উপার্জন করতে পারেন। নিচে আমরা এ সম্পর্কে আলোচনা করবো, যে কিভাবে ১-২ ঘণ্টা ব্যয় করে মোটামুটি চলার মতো টাকা উপার্জন করা যায়।

টিউশনঃ

ছাত্রবস্থায় টাকা উপার্জনের জন্য অনেকেই টিউশনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে ভালো টাকা দিতে পারে, এমন দুই এক জন ছাত্র বা ছাত্রী বেছে নেয়াই ভালো। এর ফলে, পড়াশোনার খুব একটা বিঘ্ন ঘটবে না। আবার খরচের টাকাও উঠে আসবে। টিউশনের ক্ষেত্রে একটা কথা সব সময় মনে রাখতে হবে, যে পড়াশোনা ভালোভাবে শেষ করাই মূল লক্ষ্য। অনেক বেশী টিউশন করতে গেলে নিজের পড়ার ব্যাঘাত ঘটবে, যা আপনার ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই ছাত্রবস্থায় টাকার পিছনে না পরে রেজাল্টের দিকে মনোযোগ দেয়া অত্যন্ত জরুরী।

ব্লগিংঃ

কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর নিয়মিত ব্লগ লিখে বেশ ভালো আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রতিদিন এক থেকে দুই ঘন্টা ব্যয় করে আপনি পছন্দের বিষয়ের উপর কোনও রচনা লিখে ব্লগে দিতে পারেন। ব্লগের আরেক নাম ওয়েব লগ বা জার্নাল। এটা ব্যক্তিগত ডাইরী বা জার্নাল লেখার মতোই সহজ একটি কাজ। তবে আপনাকে অবশ্যই কোনও নতুন এবং জনপ্রিয় বিষয় নিয়ে লিখতে হবে। বাংলায় লেখার চেয়ে ইংরেজীতে লিখলে বেশী উপার্জন করা সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় ব্লগার দিয়ে শুরু করতে পারেন, এবং মোটামুটি প্রতিদিন ১০০-২০০ ভিজিটর হলে এডসেন্স দিয়ে আয় করতে পারেন।

হাতের কাজঃ

টিউশনি এবং ব্লগিং দুটোই মেধাভিত্তিক কাজ। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে আপনাকে মাথা খাটাতে হবে। তবে আপনি যদি মাথা না খাটিয়ে বিকেলে বা অবসর সময়ে এমন কিছু করতে চান, যা আপনাকে প্রশান্তি ও শৈল্পিক আনন্দ দিবে, তাহলে আপনি হাতের কাজ ও বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প করতে পারেন। এর ফলে আপনি অবসর সময় কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু করার আনন্দ পাবেন। আবার তৈরি করা পণ্য বিক্রি করে মোটামুটি চলার মতো হাত খরচের টাকাও উপার্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং

আপনি যদি টুকটাক প্রোগ্রামিং, নেটওয়ার্কিং, মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট, ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর বা ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট জেনে থাকেন, তাহলে আপনি এসব সেক্টরে কাজ করে মোটামুটি চলার মতো হাতখরচের টাকা উপার্জন করতে পারেন। খুব বড় আকারের কোনও কিছু করতে না চাইলে ছোট ছোট গিগ জবে এপ্লাই করতে পারেন। এক্ষেত্রে ফিভার এবং আপওয়ার্ক আপনাকে এমন কাজ পেতে সহায়তা করবে।

পেইড টু ক্লিকঃ

অনলাইনে কাজের মধ্যে সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে পেইড টু ক্লিক বা পিটিসি। এর মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইট ভিজিট করলেই টাকা পাবেন। তবে, এতে পেমেন্টের পরিমাণ খুবই কম হয়ে থাকে। তাই আপনাকে অনেক সময় ধরে বা প্রতিদিনই লিঙ্ক চেক করতে হতে পারে। ইংরেজীতে পিটিসি লিখে সার্চ দিলে এমন অসংখ্য ওয়েবসাইট পাবেন, যারা প্রতিদিন নতুন নতুন লিঙ্কে ক্লিক করার জন্য টাকা দিয়ে থাকে। সাধারণত পেপালের মাধ্যমে পেমেন্ট উঠানো যাবে।

ডাটা এন্ট্রি

ডাটা এন্ট্রি কথাটির অর্থ তথ্যের সন্নিবেশ। কোনও নির্দিষ্ট এক্সেল বা সিএসভি ফাইলে নির্দিষ্ট ধরনের তথ্য বা উপাত্ত নিশ্চিত করাই হচ্ছে ডাটা এন্ট্রির মূল কাজ। ডাটা এন্ট্রিতে যারা দক্ষ তাঁরা খুব অল্প সময়েই অনেক বেশী সংখ্যক ডাটা অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। এসব ডাটা পরবর্তীতে রিসার্চ, বিজনেস কানেকশন বা একাডেমিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ডাটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে পাইথন প্রোগ্রামিং জানা থাকলে আপনি অতি সহজেই নির্দিষ্ট ডাটা খুঁজে তা নির্দিষ্ট ফাইলে জমা করতে পারবেন।

আর্টিকেল রাইটিং

আপনি কি ইংরেজীতে দক্ষ? তাহলে শুরু করে দিতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং। আর্টিকেলের ক্ষেত্রে বিজনেস, একাডেমিক বা ক্রিয়েটিভ বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি আছে। যেকোনো এক বা একাধিক ক্যাটাগরির উপর লিখতে পারেন। তবে, এক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মিত চর্চা করতে হবে এবং ইংরেজীতে বিভিন্ন ধরনের পেপার, ইমেইল ও একাডেমিক বিষয়বস্তু লেখার অনুশীলন করতে হবে। ইংরেজীতে লেখা আসলে যতটা কঠিন মনে করা হয়, ততটা কঠিন নয়, যদি আপনি সঠিক নিয়ম কানুন ও ব্যাকরণ জানেন।

গেম খেলে উপার্জন

কম্পিউটার গেম খেলতে তো সবাই ভালবাসে। তাই উপরের কোনটিই আপনার জন্য করা সম্ভব না হলে গেম খেলে বা রিভিউ লিখেও মোটামুটি পকেট মানি উপার্জন করতে পারেন। এজন্য আপনাকে চোখ কান খোলা রেখে নতুন নতুন গেমসের ব্যাপারে খোঁজ খবর রাখতে হবে। অনেক অনলাইন গেমস নির্মাতাই প্রথম অবস্থায় গেমস খেলার জন্য প্লেয়ারদেরকে টাকা দিয়ে থাকে। অনলাইনে সার্চ করে এ সম্পর্কে আরো ভালো জানতে পারবেন।

তো, পড়াশোনার পাশাপাশি টাকা উপার্জন করতে চাইলে আপনি উপরের কাজগুলো করে দেখতে পারেন। এতে আপনি ছোট খাটো ইনকামের পাশাপাশি নির্বিঘ্নে আপনার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন। আশা করি, রচনাটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে ব্লগে সাবস্ক্রাইব করতে ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে মোটেও ভুলবেন না।

আজ এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনও ব্লগ নিয়ে। সবাই ভালো, সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: