Skip to content

পাইথন প্রোগ্রামিং: ভেরিয়েবল, এক্সপ্রেশন ও কমেন্ট

আজকে আমরা পাইথনের ভেরিয়েবল, এক্সপ্রেশন ও কমেন্ট নিয়ে আলোচনা করবো।

আগেই বলেছি, ভেরিয়েবল হচ্ছে খালি বাক্সের মতো। এতে যেকোনো লেখা, অক্ষর, লিস্ট, নম্বর ও নির্দেশনা সংরক্ষণ করা যায় এবং পরবর্তীতে কল করে কাজে লাগানো যায়।

পাইথনে প্রোগ্রাম লেখার মাধ্যমে নির্দিষ্ট আউটপুট পেতে যে নির্দেশনা দেয়া হয়, তাঁর সমষ্টিকে এক্সপ্রেশন বলে। এক্সপ্রেশনের বাংলা অনুবাদ হচ্ছে অভিব্যক্তি।

যেকোনো প্রোগ্রামে ধাপে ধাপে কম্পিউটারকে কোনো কাজ করতে বলা হয়। পাইথন প্রোগ্রামিংয়ে এই কাজগুলো করার আদেশ দিয়ে লিখিত সম্পূর্ণ অংশটি হচ্ছে একটি এক্সপ্রেশন।

যেমনঃ

#Constant Expression
x = 12+34+89+55
print(x)

Result: 190

#Arithmatic Expression
x=12
y=34
z=90
plus = x+y+z
minus = x-y-z
multiply = x*y*z
division = x/y/z
print(plus)
print(minus)
print(multiply)
print(division)

Result:

136
-112
36720
0.00392156862745098

প্রোগ্রামিংয়ের ধরন ও প্রকারভেদে, এক্সপ্রেশন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। সবিস্তারে এক্সপ্রেশন সম্পর্কে জানতে এই লেখাটি পড়তে পারেন।

প্রোগ্রাম লিখে দেয়ার পর কম্পিউটার যখন কাজটি করে ফেলে, তখন সেটাকে বলা হয় অপারেশন। যেমন, উপরের প্রোগ্রামে গাণিতিক অপারেশন করা হয়েছে।

অনেকেই হয়তো জানো না, পাইথন প্রোগ্রামিং ব্যবহার করে অনেক সুক্ষাতিসুক্ষ্ম গানিতিক হিসাব নিকাশ করা সম্ভব। এর মধ্যে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, ভাগশেষ, স্থানাংক সবই বের করা সম্ভব।

সাধারণ যোগের কথাই ধরা যাক। পাইথন আইডিইতে গিয়ে কিছু সংখ্যা যোগ করতে চেষ্টা করুন। যেমন:

12+45+67+3

কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তাই না। এবার প্রিন্ট কমান্ড ব্যবহার করে পুনরায় চেষ্টা করুন।

print(12+45+67+3)

এই প্রোগ্রাম রান করলে উপরের সংখ্যাগুলোর যোগফল 127 পাওয়া যাবে।

উপরোক্ত প্রোগ্রামে সংখ্যাগুলো হচ্ছে অপারেন্ড ও গানিতিক চিহ্ন গুলো হচ্ছে অপারেটর।

উপরের গাণিতিক এক্সপ্রেশন ছোট্ট একটি ভেরিয়েবল দ্বারা প্রকাশ করা যায়। যেমন।

x = 12+45+67+3

এবার, এই x কে 60 দ্বারা ভাগ করবো। এজন্য নতুন ভেরিয়েবল y এ এভাবে লিখতে হবে।

y = x/60

এছাড়াও পুনরায় x দ্বারা লেখা যায়।

x = x/60

এক্ষেত্রে আগের মান গুরুত্বপূর্ণ নয়। পাইথনের এক ভেরিয়েবল দুইবার ব্যবহার হলে সর্বশেষ মানটিই ধর্তব্য হবে‌।

কোনো গাণিতিক ভাগ অপারেশন এর ফলাফল পূর্ণ সংখ্যায় প্রকাশ করতে হলে দুইবার ফরোয়ার্ড স্ল্যাশ ব্যবহার করতে হবে। যেমন:

x = x//60

এক্ষেত্রে ফলাফল পূর্ণ সংখ্যায় পাওয়া গেলেও স্বাভাবিক ভাগের মতো নিখুঁত ফলাফল হবে না।

পাইথনের যোগ(+) বিয়োগ(-) গুণ(*) ভাগ(/) এই চারটি প্রধান গাণিতিক অপারেটর ছাড়াও আরো অন্যান্য গাণিতিক অপারেটর আছে।

একটি গানিতিক অপারেশনে একের অধিক অপারেটর ব্যবহার করা যায়। তবে সাধারণ গাণিতিক নিয়ম অনুসারে পাইথন এই সমস্যা গুলোর সমাধান করে। যেমন:

1+6*2

উপরের গাণিতিক সমস্যা সমাধানে পাইথন প্রথমে গুণ করবে তারপর যোগ করবে।

তবে পাইথনে গনিতের ক্ষেত্রে প্রথম বন্ধনী প্রায়োরিটি নির্ধারিত করে দেয়া যায়। যেমন:

(1+6)*2

এক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়ম না মেনে পাইথন আগে যোগ করবে, তারপর গুণ করবে।

পাইথনে ভেরিয়েবলের মাধ্যমে সংখ্যা, বাক্য গণিত থেকে শুরু সব ধরনের এক্সপ্রেশন বর্ননা করা যায়।

প্রোগ্রাম লেখার সময় অন্যদের বোঝার সুবিধার্থে কিছু লেখার দরকার হতে পারে। এগুলোকে কমেন্ট বলা হয়। পাইথন প্রোগ্রামিংয়ে # দিয়ে কমেন্ট লেখা হয়।

যেমন:

#In this program we will add the numbers and multiplying the result with 8.
x = 1+56+39+40
x = x*8
print(x)

এই প্রোগ্রাম চালু করলে প্রথম লাইনের কমেন্ট উপেক্ষিত হবে, এবং বাকি অংশের ফলাফল দেখা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: