পুরোনো ছবির সংগ্রহ নেই, এমন পরিবার খুব কমই আছে। ঐতিহাসিক কোনও বিষয় প্রমাণের জন্য এই পুরোনো ছবিগুলোই এক সময় অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। পুরনো ছবি সংরক্ষনের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন আছে, যা মেনে চলা আবশ্যক। চলুন, আজ আমরা দেখে নেই, কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে পুরোনো ছবি ও দলিলসমুহ সংরক্ষণ করবেনঃ
প্রিন্টেড ছবির পিছনে কোনোকিছু লিখবেন নাঃ
পূর্বে ছবি সংরক্ষণ করার একটাই পদ্ধতি ছিলো, আর তা হচ্ছে, প্রিন্ট করে রেখে দেয়া। এ ধরনের ছবিগুলোর পিছনে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের নোট লিখে থাকে। যেসব ছবি সংগ্রহ করবেন, তাঁর পিছনে কোনও নোট লিখবেন না। কারণ, এর ফলে ছবিটি পরবর্তীতে রঙ জ্বলে যেতে পারে ও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যদি একান্তই কিছু লিখতে হয় তাহলে, ফটো-সেইফ আর্কাইভাল পেন দিয়ে লিখে রাখুন।
ছবিগুলো ভাগে ভাগে সংরক্ষণ করুন
বিষয়বস্তু ও প্রসঙ্গের প্রেক্ষাপটে ছবি সংগ্রহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনও একটা ঘটনা বা পরিবারের ছবিগুলো সব একসাথে রাখুন। এর সংগে আলাদা কাগজে নোটও রেখে দিতে পারেন।
ডিজিটাল আর্কাইভে আলাদা ফোল্ডার তৈরি করে ছবি সংগ্রহ করুন
আজকাল অনেকেই প্রিন্টেড ছবি সংগ্রহ না করে ডিজিটাল আর্কাইভে সংরক্ষণ করে থাকেন। সেক্ষেত্রে বিষয়বস্তু ও ঘটনা অনুযায়ী ছবিগুলো সংরক্ষণ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এজন্য আর্কাইভে আলাদা আলাদা ফোল্ডার তৈরি করে নিতে পারেন।
যেসব ছবি সংগ্রহ করবেন সেগুলো ফটোশপ দিয়ে পরিবর্তন করবেন না
অনেকেই ফটোশপ বা বিভিন্ন ফিল্টারের সাহায্যে ছবি পরিবর্তন করে থাকেন। ছবি সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে এই কাজটি একেবারেই করবেন না। কারণ ফটোশপ দিয়ে কোনও কিছু পরিবর্তন করা হলে তা আর আসল ছবি থাকে না। বরং রুপান্তরিত ছবিতে পরিণত হয়। তাই শুধুমাত্র সময় ও প্রাসঙ্গিক গুরুত্ব তুলে ধরতে আসল ও অবিকৃত ছবিগুলোই সংরক্ষণ করবেন।
ছবির আর্কাইভ সযত্নে রাখুন
প্রিন্ট করা ছবির ক্ষেত্রে ছবির আর্কাইভটি সযত্নে রাখতে চেষ্টা করুন। মাঝে মাঝে আর্কাইভটি খুলে পরিস্কার করে আবার গুছিয়ে রাখুন। রঙ জ্বলে যাওয়া এড়াতে কিছুদিন পর পর নামিয়ে ছবিগুলো ফ্যানের নিচে রেখে শুকিয়ে নিন। তারপর, আবার আর্কাইভে রেখে দিন। এভাবে, বহুদিন পর্যন্ত যত্নে থাকবে আপনার পুরনো ছবিগুলো।